রাস্তায় নেমে দুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আমফান থেকে করোনা, যে কোনও পরিস্থিতিতেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মানুষের ভিড়ে মিশে তাঁদের জন্য কাজ করেছেন। ‘যশ’ পরবর্তী পরিস্থিতিতেও তার অন্যথা হয়নি। দুর্যোগ কাটতেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার পথে নেমে যশ ও করোনা দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নের সভাঘর থেকে ভারচুয়ালি বণিকসভার বৈঠক করেন তিনি। এরপর পৌঁছে যান আলিপুরে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে। রাজ্যের তরফে সেখানে ত্রাণ বন্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাতে শামিল হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
নিজেই বেশ কয়েকজনের হাতে তুলে দেন খাদ্যসামগ্রী। কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। সেখানে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিক। করোনা বিধি মেনে তাঁরাও বিধ্বস্তদের হাতে তুলে দেন খাদ্যসামগ্রী।
জানা গিয়েছে, যশ ও করোনা দুর্গত মোট ৫০০ জনকে আজ ওই শিবির থেকে ত্রাণ দেওয়া হবে। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে চাল, ডাল ছাড়া থাকছে শুকনো খাবার। যশের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাদ যায়নি কলকাতা। শহর কলকাতার প্রান্তিক বিশেষ করে বস্তিবাসী মানুষজন ব্যাপক ক্ষতির সামনে পড়েন।
প্রশাসনের তরফে তাদের জন্য যথাসাধ্য সাহায্য করা হয়েছে আগেই। এবার আবার তাদের জন্য নিজের হাতে ত্রাণ বিলি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ আলিপুরে এমন ৫০০ দুর্গতের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। যার মধ্যে ছিল চাল, ডাল-সহ বিভিন্ন শুকনো খাবার।
সুনীল-শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে ওম বিড়লাকে ফোন সুদীপের
এদিন নবান্নে বিভিন্ন বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বণিকসভার কাছে তিনি আবেদন করেন রাজ্যে করোনা টিকাকরণের গতি আনতে বণিকসভা সাহায্য করুক রাজ্যকে। মিটিংয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে আসেন আলিপুরে। সেখানে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছতেই শুধু হয় ত্রাণ বিলি।
মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে বেশ কয়েকজনকে ত্রাণ তুলে দেন। পথে নেমে মুখ্যমন্ত্রী এভাবে ত্রাণ বিলি করায় খুশি দুর্গত লোকজন। উল্লেখ্য, যশ আছড়ে পড়ার দু’দিন পর মুখ্যমন্ত্রী দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখেন। সেখানকার দুর্গত মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তাদের জন্য যথাসাধ্য ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার।
গতবছর রাজ্যে করোনা থাবা বসানোর পরও ঠিক একইভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা আতঙ্কে কাঁটা হয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যবাসী। সেই সময় পথে নেমে প্রত্যেককে সচেতন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজে রাস্তায় দাগ কেটে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কীভাবে দুরত্ব বিধি পালন করতে হবে। জনসাধারণের স্বার্থে কীভাবে মাস্ক পরতে হবে, কীভাবে রুমাল বা কাপড় দিয়ে মাস্কের কাজ করা যাবে, বারবার তা শিখিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবারও একইভাবে পথে নেমে জনসেবা করতে দেখা গেল তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে খুশি দুর্গতরা। জানালেন নিজেদের অভার-অভিযোগের কথা।