মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই, বিস্ফোরক মন্তব্য সোমেন মিত্রের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা দেশবাসীকে। করোনা সংক্রমণের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে চলছে লকডাউন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমতাবস্থায় সকল রাজ্যবাসীকে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বেরোনোর অনুরোধ করছেন বারবার। ডাকছেন সর্বদলীয় বৈঠক। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের কোনো মানুষ যাতে না খেয়ে পেয়ে মারা যান, সেটাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।
একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাজ্যে সরকারের তরফে ঘোষনা করা হয়েছে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় চাল, ডাল, গম, বিনামূল্যে দেওয়া হবে। কিন্তু বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ আসছে তা পর্যাপ্ত নেই। কিন্তু টিভিতে প্রতিদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শুনছি, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই।
এদিন বেশ কয়েকটি প্রশ্ন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে তুলে ধরেন তিনি-
কেন্দ্রীয় সরকার গরিব মানুষের জন্য ১ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিলেন তা আদৌ মানুষ পেয়েছেন ?
আরও পড়ুনঃ করোনার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করেই অতিথি সৎকার, ফল ভুগছে আমজনতা !
মোদী সরকারের গরিব মানুষের জন্য ১লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণার পরে বাংলার গরিব মানুষেরা কি পেল ?
গত ২১ শে মার্চ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন রাজ্য সরকারের তরফে চাল, গম বিনামূল্যে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেওয়া হবে। তাহলে এই রাজ্যের মানুষের জন্য বরাদ্দ খাদ্য দ্রব্য কোথায় যাচ্ছে ?
বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ আসছে রেশন ডিলার পর্যাপ্ত চাল,গম দিচ্ছে না। রেশন ডিলার বলছেন যে, তাঁদের বরাদ্দ কোটাও পূরণ হচ্ছে না।
হুগলী জেলার বিস্তীর্ন এলাকা , বর্ধমান , নদীয়া , হাওড়া , উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন জেলার গরিব মানুষের একই অভিযোগ।
কোথাও তৃণমূলের ছোট, মেজো নেতারা ধমকে রেশন ডিলারদের থেকে মাল নিয়ে দলের পক্ষ থেকে নিজেদের লোকদের মধ্যে বিলি করছে বলেও অভিযোগ আসছে।
তবে কি এই করোনা ভয়াবহতার মধ্যেও ‘পাইয়ে দেওয়ার ’ রাজনীতি চলবে? এই প্রশ্নও তুলে দেন তিনি।
‘করোনা পাস’ দেওয়ার ব্যাপারেও তৃণমূল কংগ্রেসকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশের করোনাভাইরাস পাশের অনলাইন পোর্টাল প্রদেশ কংগ্রেসের পাশের আবেদন বাতিল করেছে। বলা হয়েছে বিস্তারিত বিবরণ নেই বলে বাতিল করা হল।
প্রদেশ কংগ্রেসের করোনা কন্ট্রোল রুমের স্বেচ্ছাসেবকদের পাশের আবেদন বাতিল হয়, কিন্তু তৃণমূলের লোকেরা রেশন দোকানের সামনে মাতব্বরি করে সরকারের দেওয়া রেশন বন্টন করছে – এর থেকে নগ্ন রাজনীতি কি হতে পারে ?