নবান্নের রিপোর্টে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে ভিড়ের উল্লেখ করলেন মুখ্য সচিব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নিজেদের রিপোর্টে অজ্ঞাত পরিচয় ৪-৫ জনের হামলার বিষয়টি উল্লেখ করল না নবান্ন। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তাদের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা করে নবান্ন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে এই রিপোর্ট জমা করেন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের তদন্তে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনায় ভিড়ে কথা উল্লেখ করা হলেও, অজ্ঞাত পরিচয় ৪-৫ জনের বিষয় কিছু জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য নন্দীগ্রামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আহত হবার পর থেকেই এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়েছে ঐদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার চক্রান্ত করা হয়েছিল। অজ্ঞাত পরিচয় চার-পাঁচজনের ধাক্কাধাক্কির কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। সবটাই ছিল পূর্ব পরিকল্পিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

হুইলচেয়ারে বাড়ি ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী, দ্রুত ফিরবেন প্রচারে বার্তা নেত্রীর

যদিও বিরোধীরা গোটা বিষয়টিকে মুখ্যমন্ত্রীর নাটক বলে অভিহিত করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের আবার কেউ কেউ বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি দুটি পোস্টে ধাক্কা খাওয়াই এই ঘটনা ঘটেছে।

এসবের মাঝেই নবান্নের কাছ থেকেও দুর্ঘটনার কারণ জানতে চায় কমিশন। এদিন নবান্ন যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে আর যাই হোক যে অজ্ঞাত ৪-৫ জনের কথা বলা হচ্ছিল, তাতে সীলমোহর দিল না।

উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে চোট পেয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধাক্কা মেরে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বিজেপি-তৃণমূলের চাপানউতর চরমে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার গোটা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল দুপুরে সিইও অফিসে গিয়ে এই ঘটনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনা যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটানো হয়েছে সেটাই হতে চলেছে তৃণমূলের মূল অভিযোগ।

উল্লেখ্য নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় চোট পাওয়ার পরই জানিয়েছিলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সে সময় তিনি বলেন, এই ঘটনার বিরুদ্ধে অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু তা

ই নয়, এই ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল সেখানে পুলিশি কোন খামতি ছিল কিনা, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরও খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সম্পর্কিত পোস্ট