হাথরাস ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবীতে সরব কংগ্রেস

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হাথরাস ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবীতে সরব হয়েছে কংগ্রেস। অথচ উপনির্বাচনে দেওরিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্তকে প্রার্থী করছে দল। এহেন দ্বিচারিতা মনোভাবের জেরে দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এক মহিলা সদস্য।
উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে এর আগে বিধায়ক ছিলেন বিজেপির জন্মেজয় সিং। তাঁর মৃত্যুর পর সেই আসন খালি রয়েছে। উপনির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মুকুন্দ ভাস্করকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তারা দেবী জানিয়েছেন, একদিকে হাথরাস ঘটনায় দোষীদের শাস্তির জন্য লড়াই করছে কংগ্রেস। অন্যদিকে ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্ত এক নেতাকে প্রার্থী করছে কংগ্রেস! এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এটা দলের ইমেজকে নষ্ট করবে বলে দাবী মহিলা কংগ্রেস নেত্রীর।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে বেশ কিছু নেতাকে কংগ্রেস নেত্রী তারা দেবীর ওপর হামলা করতে দেখা গিয়েছে। জেলা সভাপতি ধর্মেন্দ্র সিং এবং সহ সভাপতি অজয় সিং সহ আরও দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস নেত্রী।
তারা দেবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কংগ্রেসের তিন নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি। সেখানেই দলের জাতীয় সম্পাদক শচীন নায়েকের ওপর হামলা চালান তিনি। সেখান থেকেই ঘটনার সুত্রপাত।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তারা দেবী জানিয়েছেন, উনি জেনেশুনে হামলা করেননি। মুকুন্দ ভাস্করকে কেন প্রার্থী করা হয়েছে? তা জানতে চেয়েছিলেন তিনি।
তারা দেবীর ওপর হামলার ঘটনায় টুইট করে নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। এবিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
जब बलात्कर आरोपी को टिकट देने के विरुद्ध एक महिला कार्यकर्ता ने आपत्ति जताई तो देवरिया में कांग्रेस के नेताओं ने जमकर उनकी पिटाई कर दी।@NCWIndia को इस मामले को संज्ञान में लेते हुए आरोपियों के ख़िलाफ़ सख्त कार्यवाही करनी चाहिए। pic.twitter.com/21LjTV5tYV
— Hardeep Singh Puri (@HardeepSPuri) October 11, 2020
প্রসঙ্গত, গত মাসে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ২০ বছর বয়সী এক দলিত মহিলাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে উচু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। পরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতা।
রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়ায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধী পক্ষ। হাথরাসে মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ যা নিয়ে গোটা দেশে তোলপাড় হয়। সারা দেশজুড়ে শুরু হয় আন্দোলন।