ভবিষ্যতে আইএসএফের সঙ্গে জোট করবে না কংগ্রেস, স্পষ্ট বার্তা অধীরের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুরু থেকেই টালবাহানা চলছিল। জোটের অভিমুখ থেকে সরে গিয়েছেন বারবার। বামেদের সঙ্গে জোটে সায় দিলেও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট নাপসন্দ ছিল তাঁর। তাই ভবিষ্যতে নির্বাচনী লড়াইয়ে আইএসএফের সঙ্গে জোটে থাকতে চান না। এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বামেদের নেতৃত্বে সংযুক্ত মোর্চার জোটে অংশ নিয়েছিল কংগ্রেস৷ এছাড়াও ওই জোটের অন্যতম শরীক ছিল নতুন দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।
সমস্ত প্রত্যাশার পরেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটিও আসন পায়নি বাম এবং কংগ্রেস। তৃণমূল এবং বিজেপির দ্বিমুখী লড়াইয়ে একটিমাত্র আসন পায় আইএসএফ। যা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দেয় মোর্চা শিবিরে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, আমি কখনই চাইব না আমরা যে জোটে অংশ নেবো তার শরীক দল হবে আইএসএফ। জোট হয়েছিল বামেদের নেতৃত্বে তার শরীক হয়েছিল আইএসএফ।
উত্তরবঙ্গে বিজেপির দাপট ! বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগের হিড়িক
অধীর চৌধুরী আরও বলেন, আমি বামেদের বলেছিলাম আইএসএফের সঙ্গে জোটে রাজি না হতে। কিন্তু বামেদের তরফে জানানো হয়েছিল কথা দিয়েছেন তাই কথার খেলাপ তাঁরা করবেন না। তার ফল এখন পাওয়া গেল।
২০১৬ সালের নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট করেছিল কংগ্রেস। সেবার ৭৭ টি আসন পেয়েছিল জোট। কিন্তু ২১ এর সংযুক্ত মোর্চার পালে হাওয়া লাগেনি। ৭৭ টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে আবির্ভাব হয়েছে বিজেপির৷
এবারের নির্বাচনে নিজেদের গড় রক্ষা করতে পারেনি কংগ্রেস। মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং দুই দিনাজপুরের প্রত্যেকটি আসন হারাতে হয়েছে তাঁদের। এমনকি নিজের গড় বহরমপুরেও হারতে হয়েছে অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং তাঁর দলকে।
জোট নিয়ে শুধুমাত্র কংগ্রেস নয়, বাম শিবিরেও মতান্তর রয়েছে। বাম শীর্ষ নেতৃত্ব জোটের পক্ষে সায় দিলেও জোটে অমত ছিল তন্ময় ভট্টাচার্যের। উত্তর ২৪ পরগণার জেলা কার্যালয় থেকে আলিমুদ্দিন, সমস্ত জায়গাতেই তাঁকে নিয়ে আলোচনা চলছে ব্যাপক।
এখন প্রশ্ন হল, ধর্মনিরপেক্ষ দলের পরিচয় দিতে গিয়ে আইএসএফের সঙ্গে জোট করেই কী বিপদ হল বামেদের? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।