পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পেলেন আমফানের ক্ষতিপূরণ, ব্রাত্য থাকলেন গ্রামবাসীরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য জুড়ে আম্ফানের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব সহ একাধিক অভিযোগ উঠছে।
অনেকের অভিযোগ টাকা এলেও তা ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌছানোর আগেই দলের লোকেরা আত্মসাৎ করছে। এমনই এক মারাত্মক অভিযোগ উঠলো বারাসত ব্লক ২ এর দাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাদপুর গ্রামে।
অভিযোগ বারাসত ব্লক ২ এর পূর্ত কর্মাধক্ষ্য আসের আলি মল্লিক এর বিরুদ্ধে, পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক। কামদুনি স্কুলের শিক্ষক। অভিযোগ আম্ফানের ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের লিস্ট জমা পড়েছে লম্বা। তবে যাদের প্রকৃত প্রয়োজন তাদের বরাদ্দে টাকা না এলেও কর্মাধক্ষের টাকা চলে এসেছে।
বাংলার স্বার্থে কাজ করুন যুব সমাজকে বার্তা অভিষেকের
এই নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।সকাল থেকেই আসের আলি মল্লিকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা। অভিযোগ আসের আলির পরিবারের পাঁচজন ফুল ড্যামেজের টাকা পায়। তবে গ্রামের অন্যান্য বাড়ি, যেখানে কারোর চাল উড়ে গেছে,কারর গাছ পরে বাড়ি ভেঙে গেছে,তাদের নামের লিস্ট তৈরি হলেও কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি।
এই বিষয়ে প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি,তবে উপপ্রধান মহম্মদ আব্দুল হাই জানান এই অভিযোগ জমা পরেছে,কিছু মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছে তাও জানেন,তবে গ্রামের অনেক মানুষ এই ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছে। যারা এখনো পায়নি তাদের ব্যাঙ্কের সমস্যার জন্য এমনটা হয়েছে।
প্রত্যেকেই এই ক্ষতিপূরণের টাকা পাবে। অন্যদিকে আসের আলি মল্লিক জানান,এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে,তবে তিনি এবং তার পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে তা তিনি স্বীকার করে নেন।