মাত্রাতিরিক্ত বিল নিয়ে সিইএসসিকে নোটিশ ধরাতে পারে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মাত্রাতিরিক্ত বিল নিয়ে আমজনতার ভোগান্তি এড়াতে এবার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সংস্থা সিইএসসি’র বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে চলেছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
গ্রাহকদের সমস্যা হবে এমন কাজ কিছুতেই বেসরকারি ওই বিদ্যুৎ সংস্থাকে করতে দেওয়া হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এই নিয়ে নবান্নের তরফে অ্যাডভাইজরি পাঠানোর ভাবনাচিন্তাও করছে। সূত্রের খবর, এরই মাঝে সিইএসসি-কে নোটিস পাঠাতে পারে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে বলেন, ‘লকডাউনের ফলে ঠিকমতো মিটার রিডিং নেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত বিলের বোঝা সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতি মাসে যা বিল আসে, তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি বিল আসছে। একে লকডাউনে বেশিরভাগ মানুষের আয় কমেছে। তার উপর আবার মাত্রাতিরিক্ত বিলের বোঝা চাপায় নাজেহাল গ্রাহকরা।
কো-ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শুরু শীঘ্রই, যে কেউ অংশীদার হতে পারেন জানাল আইসিএমআর
তিনি আরও বলেন, ‘তাছাড়া সিইএসসি যে যুক্তি দিচ্ছে তাও মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণেই নোটিস পাঠানো হচ্ছে। আজ অর্থাৎ সোমবারই এই বেসরকারি বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে নোটিস পাঠাবে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। এছাড়া ওইদিন সিইএসসি’র সদর দফতর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অ্যাবেকা।
আমফান পরবর্তী সময়েও শহরাঞ্চলে মানুষের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে গিয়ে প্রায় ‘ব্যর্থ’ হয়েছিল সিইএসসি। ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল আমজনতা।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও মাত্রাতিরিক্ত বিলের ঘটনা। যদিও শুক্রবার বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন সিইএসসি’র দুই কর্তা।
কেন এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে, তার কারণও ব্যাখ্যা করেন তাঁরা। কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষোভ এতে কমার লক্ষণ নেই। তাই ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের এই পদক্ষেপকে স্বাগতই জানিয়েছেন সাধারণ জনতা।