লাগাতার বৃষ্টিতে রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এক দুর্যোগের প্রকোপ কাটার আগেই বাংলার আকাশে আরেক দুর্যোগের ভ্রুকুটি।পূর্ব বঙ্গোপসাগরে আরও একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সেটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মঙ্গলবারই আছড়ে পড়বে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়।

এই নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা এবং বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। শুক্রবার হাওয়া অফিসের তরফে সতর্ক করা হয়েছে, ০৭ থেকে ১১ সেমি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের এই জেলাগুলিতে।

লাগাতার বৃষ্টিতে এমনিতেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। কলকাতা সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে প্রশাসন। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে ৬০০র বেশি রিলিফ ক্যাম্প করা হয়েছে। এ

লাকাভিত্তিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির জেরে রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এক লক্ষ কুড়ি হাজার মানুষকে বিভিন্ন রিলিফ ক্যাম্পে সরানো হয়েছে বলেও প্রশাসন সূত্রে খবর।
বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তরফে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রবিবার থেকে ওই এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে আবহাওয়া দফতরের।

১৪৪ ধারার মাঝেই বিপ্লব দেবের জনসভা, মুখ্যসচিবের দ্বারস্থ তৃণমূল

ফের বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে, তাই নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে ওই এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দাকে। নবান্নের তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে বিশেষ নির্দেশ গিয়েছে। সেই সঙ্গে ত্রাণকাজের যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েও প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন।

ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা এবং ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্যবন্দর এলাকায় মাইকের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেছে মৎস্য দফতর। পাশাপাশি, মৎস্যজীবী সংগঠনগুলিকেও সতর্ক করা হচ্ছে। আগামীকাল থেকে পরের সপ্তাহ ২৯ সেপ্টেম্বর অবধি সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাওয়া দফতর। যারা গভীর সমুদ্রে গিয়েছে তাঁদের রবিবারের মধ্যে ঘরেফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্গাপুজোর আগেই ভয়ঙ্কর দুর্যোগের মধ্যে পড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন জানিয়েছেন, ‘বিপর্যয়ের মোকাবিলায় সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নদী তীরবর্তী বিপদসঙ্কুল এলাকা থেকে প্রায় সব মানুষকেই ফ্লাড সেন্টারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগই প্রস্তুত।

সম্পর্কিত পোস্ট