রামমন্দির তৈরি, উগ্র জাতীয়তাবাদের ঢেউ ব‌ইয়ে দেওয়াই কী সরকারের কাজ?

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারের আট বছর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সরকার হিসেবে কী করেছে তারা যা দল থেকে সরকারকে পৃথক হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবে। অনেকে বলবেন রামমন্দির তৈরি, জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা লোপ, নতুন সংসদ ভবন তৈরি ইত্যাদির কথা।

এগুলো রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপির বরাবরের অ্যাজেন্ডা ছিল এবং তারা ক্ষমতায় এসে সফলভাবে তা রূপায়ন করেছে। তা ভালো কথা, মানুষ সমর্থন করেছে যখন তখন করবে নাই বা কেন। কিন্তু দেশের সরকার হিসেবে এই আট বছর ধরে বিজেপি কী করল?

যে দল‌ই ক্ষমতায় থাকুক, সরকারের কতগুলো মূল কাজ কখনও বদলে যায় না। কর্মসংস্থান তৈরি, বেকারত্ব কমানো, মানুষের জীবনযাপনের গড় মানের উন্নতি ঘটানো, দারিদ্র্য বিমোচন, আয় বৃদ্ধি এমন‌ই কতগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কিন্তু মোদির রাজত্বে বেকারত্ব যে ভয়াবহভাবে বেড়েছে তা প্রতিটি তথ্য থেকে পরিষ্কার। সরকার মেক ইন ইন্ডিয়ার কথা বলছে, কিন্তু না গড়ে উঠছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান, না থাকছে বিদেশি সংস্থা। বিনিয়োগকারীরা একের পর এক পাততাড়ি গোটাচ্ছে। যা পরক্ষে অর্থনীতির বেহাল দশা সর্বসমক্ষে প্রকট করে দিয়েছে।

দল থেকে সাসপেন্ড হতেই বিস্ফোরক পার্থ

কর্মসংস্থান যখন কমেছে তখন মানুষের আয় যে কমবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এক্ষেত্রে বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার করোনা পরিস্থিতিকে অজুহাত হিসেবে তুলে ধরা হয়। কিন্তু করোনার আগের পর্যায়, অর্থাৎ ২০২০ সালের আগেও একই পরিস্থিতি ছিল।

বস্তুতপক্ষে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধীরে ধীরে অর্থনীতির বেহাল দশা প্রকট হয়ে উঠেছে। যা বর্তমানে প্রায় ধসে পড়ার মুখে দাঁড়িয়ে।

তবে দেশে বিলিয়নেয়ার ট্রিলিয়নেয়ারের সংখ্যা কিন্তু ক্রমশই বেড়েছে। যা ভয়াবহ আয় বৈষম্যের দিকে ইঙ্গিত করে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি থেকে একটা বিষয় পরিস্কার, তারা আমজনতার থেকে পুঁজিপতিদের কাছের সরকার।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে ধর্ম হোক বা সমাজকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি, তা নিয়ে ফারাক ও মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু একটি সরকার তার নিজের বেসিক দায়িত্ব যখন ভুলে যায় বা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যায় তখন তাকে আর কী সফল বলার উপায় আছে? এর উত্তর বিরোধীদের থেকেও মোদি সরকার পন্থীদের অনুসন্ধানের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।

সম্পর্কিত পোস্ট