ইরানের হিজাব বা বাংলার নীল-সাদা স্কুল ড্রেস, পোশাক চাপিয়ে দিলেই গর্জে উঠছে আমজনতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পোশাকের অধিকার মৌলিক অধিকার। ভারতবর্ষের প্রতিটি নাগরিক যাতে পোশাক পরতে পারে সেই বিষয়টা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু কে কোন পোশাক পরবে সেই অধিকার সরকার বারাষ্ট্রযন্ত্রকে দেওয়া হয়নি। এই পোশাক নিয়েই সরকারের খবরদারির জেরেই জ্বলছে ইরান।
যাবতীয় চোখরাঙানি ধুলিস্যাৎ করে রাস্তায় নেমে হিজাব পোড়াচ্ছে ইরানের মেয়েরা। এই বাংলাতেও পোশাক নিয়ে এক ধরণের খবরদারি শুরু হয়েছে। আর প্রতিবাদে নতুন স্কুল ইউনিফর্ম ছিঁড়ে ছুড়ে ফেলে দিল সেভেন-এইট, নাইন-টেনের বাচ্ছারা!
খবরদারি, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের প্রকাশ এমনই হয়। এতদিন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কুলের নানান রকমের ইউনিফর্ম ছিল। তার সঙ্গে ঐতিহ্য, দীর্ঘদিনের রীতি এবং সর্বোপরি ছাত্র-ছাত্রীদের আবেগ জড়িয়ে থাকে।
নিজের ছেড়ে আসা স্কুলের নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম দেখে আজও বহু ছেলে-মেয়ে নস্টালজিয়ায় ভোগে। নিজের ছেড়ে আসা স্কুল নিয়ে বুকের মধ্যে যে হালকা চিনচিনে ব্যাথাটা কাজ করে, সেটাই প্রাক্তনীদের স্কুলের সঙ্গে সংযুক্ত করে রাখে। সেই সূত্র ধরেই স্কুলের উন্নতিতে জড়িয়ে থাকেন প্রাক্তনীরা।
কিন্তু যাবতীয় আবেগ, ঐতিহ্য ভুলে রাজ্য সরকার নিয়ম করেছে বাংলার সব সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে নীল-সাদা পোশাক পরতে হবে, বুকে থাকবে বিশ্ব বাংলার লোগো! যদিও বিনা বিবাদে এই নির্দেশ যে ছাত্র সমাজ মেনে নিতে রাজি নয় তা তাদের প্রতিক্রিয়া থেকেই স্পষ্ট।
গেহলট জটিলতা বাড়াচ্ছেন, সভাপতি নির্বাচন ঘিরে অস্বস্তি বাড়ছে গান্ধিদের
বুধবার যেমন কোচবিহারের মনীন্দ্র স্কুলের ছেলেদের নীল-সাদা সরকারি ইউনিফর্ম দিতেই তারা সেগুলো ছিঁড়ে ফেলে দেয়। ছাত্রদের সাফ কথা, এতোদিন ধরে চলে আসা সবুজ-সাদা পোশাকই পরবে তারা, সরকারের দেওয়া নতুন ইউনিফর্ম নয়।
এই নিয়ে ছাত্ররা এর আগে জলপাইগুড়ি, কাঁথিতেও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। যদিও তাতে সরকারের টনক নড়েনি। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ঐতিহ্যবাহী ইউনিফর্ম পাল্টে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রযন্ত্রের পোশাক নিয়ে আধিপত্যবাদী মনোভাবের প্রতিফলন বলেই মনে করছে শিক্ষামহল। এই প্রসঙ্গেই তাঁরা ইরানের উদাহরণ টানছেন। সেই সঙ্গে সব স্কুলের এক ইউনিফর্ম করে দিলে বৈচিত্র্য নষ্ট হবে বলেও অভিযোগ উঠছে।