তিস্তার উপর বাঁধে পুনর্ভবা নদীর জলে বাধা, মাথায় হাত মৎস্যজীবীদের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নদীতে জল না থাকায় বংশ পরমপরা জীবিকার অস্তিত্ব নিয়ে সংকটে পড়েছে মৎস্যজীবীরা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা নদীর জল তেমন না থাকায় রকমারি মাছেও দেখে মেলে না আর এই নদীতে। যার ফলে মাছ ধরতে ব্যর্থ মৎস্যজীবীরা,ফলে সংসার চালাতে চরম বিপাকে পড়তে হয় তাদের।
অনেক মৎসজীবীরা পেটের তাগিদায় জীবিকার পরিবর্তন করেছেন। বংশ-পরম্পরা জীবিকা মাছ ধরা বাদ দিয়ে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করছেন অনেকেই , আবার কেউ বা টোটো চালিয়ে সংসার পরিচালনা করছেন।সমস্যার হাল ফেরাতে সরকারের কাছে আবেদন মৎস্যজীবীদের।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে পুনর্ভবা নদী,এলাকার লাইফ লাইন। এই পুনর্ভবা নদী। নদী তীরবর্তী এলাকায় হাজার হাজার মানুষের বসবাস।বসবাস কৃষক ও মৎস্যজীবীদেরও।যুগ যুগ ধরে এই পুনর্ভবা নদীর মাছ ধরে আসছেন মৎস্যজীবীরা।
একটা সময় ছিল যখন পুনর্ভবা নদীতে মাছের বাহার, রকমারি মাছ জোয়ারের জলে নদীর সুন্দর্য বাড়াতো।আর এই রকমারি মাছ ধরতেন পুনর্ভবা নদী তীরবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীরা। রকমারি মাছ ধরে তা বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতেন, পয়সা উপার্জন করে হাসি মুখে সংসার পরিচালনা করেছেন তারা। কিন্তু বর্তমান সময়ে একটু পরিবর্তন হয়েছে মৎস্যজীবীদের জীবনে।
শীতের শুরুতেই নানা রকমের পিঠেপুলির চাহিদা তুঙ্গে
তিস্তার উপর বাংলাদেশ বাঁধ দেওয়ায় পুনর্ভবা নদীতে সারাবছর তেমন জল থাকে না,যার ফলেই সমস্যা, দেখা মেলেনা নানান রকমের মাছের।সারাদিন নদীর জলে জাল ফেলে রাখলেও প্রায় খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হয় মৎস্যজীবীদের।বাড়ি ফিরেই মাথায় হাত পড়ে যায় তাদের সংসার পরিচালনা করতে। পেটের তাগিদে বংশ পরম্পরা পেশা বাদ দিয়ে অন্য পেশায় যুক্ত হতে হচ্ছে অনেক মৎস্যজীবীদের।
কেও ভ্যানে করে সবজি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে পয়সা উপার্জন করছেন আবার কেউ বা টোটো চালিয়ে সংসার পরিচালনা করছেন।বংশ পরম্পরা পেশা থেকে মুখ সরিয়ে নিতে হচ্ছে অনেক মৎস্যজীবিকেই। পুনর্ভবা নদীর জল না থাকায় সমস্যা শুধু মৎস্যজীবীদের নন, সমস্যায় পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার কৃষকেরাও।
চাষবাসের সেচের কাজে কৃষকেরা এই পুনর্ভবা নদীর জলই ব্যবহার করে থাকেন।পুনর্ভবা নদীর জল না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরাও।সমস্যার হাল ফেরাতে সরকারের কাছে আবেদন পুনর্ভবা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের।