সারদা মামলায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে তলব ইডির
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সারদা মামলায় তৃণমূল মুখপাত্রকে কুনাল ঘোষকে তলব ইডির। আগামীকাল বেলা ১১ টায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
নির্বাচনের আগে গরুপাচার ও কয়লাপাচার সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে সিবিআই ও ইডি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কয়লা পাচার সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
এরপর ফের আজকে সারদা মামলা নিয়ে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি। জানা গিয়েছে সারদা মামলায় সম্প্রতি নতুন করে বেশ কয়েকটি তথ্যা উঠে এসেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তলব করা হয়েছে কুণাল ঘোষকে।
নির্বাচনের আগে কুণাল ঘোষকে ডেকে ইডির তরফে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত একের পর এক জনসভা থেকে কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী একাধিক নেতৃত্ব।
এবিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান ২০১৩ সাল থেকেই ইডি আমায় তলব করছে। এর আগেও আমি সহযোগিতা করেছি। আগামীকাল আমি হাজিরা দেব এবং তদন্তকারী আধিকারিকদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।
কাবেরি তীরে ত্রিশঙ্কু জোটের লড়াই
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, বিজেপির এক নেতা তৃণমূলে এই মুহুর্তে জনপ্রিয় নেতাদের ওপর চাপ বাড়াতে এজেন্সি দিয়ে বিভিন্ন বিষয় তাদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করাচ্ছেন। এদিন অবশ্য কুণাল ঘোষ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই একটি হোটেলে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের আচমকা সাক্ষাৎ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তৈরি হয়েছিল গুঞ্জন।
জল্পনা ওঠে বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ভোটের মুখে তৎপর হয়েছে সিবিআই এবং ইডি। নজরে রয়েছে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলাও। হয়তো কুনাল ঘোষ জানতেন যে কোন মুহূর্তে তাকে ফের ডেকে পাঠাতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ভোটের মুখে তাই কোনভাবেই যেন তাকে গ্রেফতার না করা হয় সেইবিষয়ে নিয়েই শুভেন্দু অধিকারী ও বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কুণাল ঘোষ।
যদিও সবটাই অনুমেয়। এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি শাসক শিবিরেরর নেতৃত্বরা।