রাজ্যের ৭টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করল নির্বাচন কমিশন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের আধিকারিকরা রাজ্য সরকারের থেকে জানতে চেয়েছে রাজ্যসভার আসন দুটিতে উপনির্বাচন করা যাবে কিনা।
এর উত্তরে সরকার কমিশনকে জানিয়েছে সাতটি বিধানসভার উপনির্বাচন ছাড়াও রাজ্যসভার দুটি আসনে উপনির্বাচন করা সম্ভব।
রাজ্যের তরফে স্পষ্টভাবে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার পরেই উপনির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। কলকাতার বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোটের সময় যে ইভিএম মেশিন ব্যবহার করা হয়েছিল সেগুলি সব ঠিক রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পুরোনো ইভিএম গুলিকে ক্লিয়ার করার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।
যে সাতটি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেগুলি হল ভবানীপুর, খড়দহ, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ, শান্তিপুর, দিনহাটা, গোসাবা। ভবানীপুর কেন্দ্রের দিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। কারণ এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই তিনি এই কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন।
শোনা যাচ্ছে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাকি আসনগুলোতে কে কোথায় প্রার্থী হচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি দলের তরফে।
৭ ঘন্টা বন্ধ থাকবে ইএম বাইপাস, বিকল্প রাস্তার বিজ্ঞপ্তি দিল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের
খড়দহের বিধায়ক কাজল সিনহা ভোটের ফলাফল প্রকাশের আগেই মারা যান। সূত্রের খবর এখনো পর্যন্ত যা স্থির হয়েছে তবে এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে পারেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এছাড়া দিনহাটা ও শান্তিপূরে ভোট হবে। কারণ বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক এবং জগন্নাথ সরকার ইতিমধ্যেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন সাংসদ হিসেবে এলাকার উন্নয়নে শামিল হতে চান তারা। এছাড়া বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের কয়েক দিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ফলে গোসাবাতেও উপনির্বাচন হবে।
সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সেই সময় এখানকার অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও মারা যান। যে কারণে স্থগিত করে দেওয়া হয় নির্বাচন। তবে এই দুই কেন্দ্র থেকে কারা প্রার্থী হবেন বা পুরোনো প্রার্থীরাই বহাল থাকবেন কিনা সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
কলকাতার গোপালনগরে সার্ভে বিল্ডিঙে ইভিএম ও পোস্টাল ব্যালটে পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। এই কাজ চলবে আগামী সপ্তাহে বুধবার পর্যন্ত।
উল্লেখ্য বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই জল্পনা শুরু হয়ে যায় উপনির্বাচন ঘিরে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত সমস্ত প্রস্তুতি করা হচ্ছে। দিনক্ষণ এখনই ঠিক করা হয়নি।