এই আন্দোলনের জোর হচ্ছে কৃষকরা নিজেরাইঃ হান্নান মোল্লা
একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শুভজিত চক্রবর্তী
দেখতে দেখতে ছয় মাস অতিক্রান্ত সিঙ্ঘু, টিকরি এবং গাজিপুর বর্ডারে কৃষকদের আন্দোলন। স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময়ের এই ঐতিহাসিক আন্দোলন এক অন্য মাত্রা পেতে চলেছে। যাতে শামিল হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার অন্যতম নেতা তথা অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লার সঙ্গে কথা বলে দ্য কোয়ারি।
স্বাধীনতার পর স্বতন্ত্র ভারতে এত বড়ো একটা আন্দোলন। আপনি সেই আন্দোলনের একজন শরীক বা বলা যায় একজন অন্যতম দলনেতা। গোটা বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?
হান্নান মোল্লাঃ দেখুন এই যে কৃষক আন্দোলন চলছে আজকে তার ছয় মাস হল। এই আন্দোলনটার বৈশিষ্ট হচ্ছে যে এটা স্বাধীনতার পর বৃহত্তম কৃষক আন্দোলন। এতবড় কৃষক আন্দোলন স্বাধীনতার পর আগে হয়নি। দুই নম্বর হল এখানে ৫০০ সংগঠন একসঙ্গে কাজ করছে ৬ মাস।
এত ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কখনও হয়নি। তিন নম্বর হল, এত বড় আন্দোলন আমাদের ওপর এত আক্রমণ, এত প্রভকেশান, এত বদনাম করার পরেও আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এতকিছুর পরেও স্বাধীনতার পর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়নি। এই রকম একটা আন্দোলন ঐতিহাসিক আন্দোলন। এটা যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশের ইতিহাসের পক্ষে একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
আন্দোলন তো সকলে করে না। যখন বা যে অংশ আক্রান্ত হয় অসুবিধায় পড়ে বা দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন তাঁরা আন্দোলন করে। কেউ তো বলে চলো একটু আন্দোলন করে আসি। এখন বাধ্য হয় তখনই আন্দোলন করে।
আমরা তখনই আন্দোলন শুরু করলাম যখন দেখলাম কেন্দ্রের সরকার যে তিন কৃষি আইন তৈরি করেছে, তা কার্যকর হলে দেশের কৃষকরা শেষ হয়ে যাবে। তাঁদের সর্বনাশ হয়ে যাবে। তাঁরা নিজের জমিতে ক্রীতদাস হয়ে যাবে।
কয়েকটা কর্পোরেটদের হাতে গোটা ব্যবস্থা চলে যাবে। এফসিআই উঠে যাবে। গোটা কালোবাজারি চরম জায়গায় পৌঁছে যাবে। কৃষক তাঁর ফসলের দাম পাচ্ছে না। আরও পাবে না। এখন মান্ডিতে কিছুটা হলেও দাম পায়। যখন প্রাইভেট মান্ডি হবে তখন কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। যে কোনও দাম তাঁরা দেবে।
এই অবস্থায় কৃষকরা ফসলের দাম না পেয়ে লোকসানের জন্য তাঁদেরকে আত্মহত্যা করতে হচ্ছে। চার লক্ষ কৃষক আত্মহত্যা করেছে লোকসানের জন্যে। সুতরাং নুন্যতম সহায়ক মূল্য এই আইনের জন্য আমরা লড়াই করছি।
যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশে মানুষ যখন তাঁর অসুবিধার কথা বলে, তখন সেই সরকার তা সহানুভূতির সঙ্গে শোনে এবং তা সমাধানের চেষ্টা করে। এটাই তো গণতান্ত্রিক সরকারের চরিত্র। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমাদের এত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কৃষক লড়ছে। কৃষক বিশ্বাস করে এই তিন আইন তাঁদের সর্বনাশের কারণ।
এই সময় সরকারের উচিত কৃষকদের দাবীগুলিকে মর্যাদা দিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করা। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের এখনও অবধি কোনও আলোচনা করে সমাধানের পথে যাচ্ছে না।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে আপনারা বারবার বলছেন সরকার একটু নমনীয় হয়ে কৃষকদের কথা শুনে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করুক। এই তিন আইন নিয়ে আলোচনা হোক। জানুয়ারি মাসে শেষ বৈঠক হয়েছিল। তারপর থেকে সরকারের সঙ্গে আরও বৈঠক হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সাড়া মিলেছে?
হান্নান মোল্লাঃ কোনও কিছু মেলেনি। এই জন্যই তো আমরা বললাম। আমরা চিঠি দিলাম। আমরা রেসপন্স করিনি এরকম না। আমরা বিশ্বাস করি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটতে পারে। একমাত্র কৃষক এবং সরকারের মধ্যেই আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কোনও তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই।
এই রকম একটা অবস্থায় দাঁড়িয়ে যখন ছয় মাস চলে গেল তাতে পরিষ্কার প্রমাণ হয় সরকার সমাধান চায় না। তাঁদের যে কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করার আইন, তা জোর করে কৃষকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না। দেশের রেল, তেল, এলআইসি সমস্ত কিছু কয়েকটা কর্পোরেটদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এরা এখন জমিটাও কর্পোরেটের হাতে তুলে দিতে চাইছে।
এটা তাঁদের ব্যবহার দেখে প্রমাণ হয়। যে দশবার চুরি করে সে এগারো বারও করতে পারে। যে নতুন আইন তৈরি হয়েছে, তাতে কীভাবে জমি কর্পোরেটদের হাতে চলে যাবে। কৃষক কীভাবে ক্রীতদাস হয়ে যাবে সেটা আমরা বারবার বলছি। কিন্তু সরকার সেসব কথা শুনতে চায় না। তাঁরা তাঁদের কথাগুলো জোর করে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়।
আমরা বলছি এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নয়। এটাই ফ্যাসিবাদ। এটাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে জবরদস্তি করে দেওয়া। আমরা যা চাইছি সরকার তা করবে না। বরং তাঁরা যা চায় তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবে। তুমি যদি জানো যে তোমাকে এক গ্লাস বিষ দেওয়া হচ্ছে তবে কী তুমি তা হাত থেকে নিয়ে খাবে? অসম্ভব।
আমরা দেখতে পাচ্ছি এই তিনটে আইন আমাদের কাছে বিষের মতো। এখন কী করে খাবো সেটাকে। আমরা চাইছি সরকার আমাদের সঙ্গে কথা বলে এই তিনটে আইন প্রত্যাহার করে নিক। আবার নতুন করে আইন তৈরি করুক। নতুন আইনে কি করা দরকার তা আমরা সকলেই বলব। কিন্তু সরকার কোনও কথা শুনতে চায় না। তাঁরা ৮০ কোটি লোকের ওপর জবরদস্তি করে আইনটা চাপিয়ে দিতে চায়।
এখন একজন ব্যক্তি যদি শুনত তাহলে ১৩০ কোটি লোক করোনা থেকে বেঁচে যেত। একজন শুনছে না বলে ১৩০ কোটি শুনছে না। এর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমরা আন্দোলন করছি। কিন্তু যখন শুনছে না আমাদের রিমাইন্ডার দিতে হবে। তুমি মুখে বলছ এক টেলিফোন দুরে আছি।
কিন্তু কেন তুমি টেলিফোন করে আলোচনা এগোতে পারছনা। আমাদের ৪৭০ জন মারা গেছে। আর কত পর? তোমার নাগরিক মারা যাচ্ছে ঠান্ডায়, গরমে, বর্ষায় বসে বসে। তারা তো পাগল নয়। এখানে বসে বসে মরে যাচ্ছে।
তাহলে এই অবস্থায় সরকারের উচিত এগিয়ে এসে সহযোগিতা করা। কিন্তু সরকার কোনও কিছুর রেসপন্স করে না। একতরফা বলে। কারোর কথা কোনও রকম শোনে না। এটা গণতান্ত্রিক দেশে চলে না। এটা ফ্যাসিবাদী চরিত্র। এটা সমস্ত অংশের মানুষের সর্বনাশ করে।
আমরা বারবার করে বলছি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে। কিন্তু সরকার চাইছে বিষয়টি আরও লম্বা করতে। যাতে আমরা আন্দোলন না করে ছেড়ে চলে যাবো। আমাদের আন্দোলনকে ধ্বংস করাই হল সরকারের ষড়যন্ত্র। আমরা তো দাবী নিয়ে মারামারি, কাটাকাটি করছি না। আমাদের কাছে আর কোনও উপায়ও নেই। আমরা আন্দলনস্থলে বসে আছি।
আমরা বলছি আমাদের দাবী শোনো। মানুষ আমাদের পক্ষে আছে। দশটি ট্রেড ইউনিয়ন আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলি এখন মনে করছে আমাদের দাবীগুলো সঠিক তাঁরাও আমাদেরকে সমর্থন করছে। ছাত্র সংগঠন থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবীরাও আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছে।
আমরা বলছি আমাদের সমস্যার সমাধান করো। কিন্তু সরকার তা করছে না। আমাদের আন্দোলন ছয় মাস হল। আমরা আজও থেকেই আন্দোলনের নতুন ট্রেন্ড হিসাবে আমরা শুরু করতে চাই।
তাই আজ আমরা তিন ‘কালো আইন’-এর বিরুদ্ধে ‘কালা দিবস’ পালন করছি। আমরা বলেছিলাম ঘরে ঘরে লোকে কালো পতাকা তুলবে। ব্যাচ পড়ে দুই চারজন মিলে নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুলিকা জ্বালাবে।
আমরা জানি এখন সমাবেশ করলে দশ হাজার মানুষের সমর্থন মিলবে। কিন্তু মাহামারির কথা মাথায় রেখে আমরা ছোট ছোট আকারে সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটাও আন্দোলনের একটা রূপ। জমায়েত হলে ১০ লক্ষ লোক আসতে পারত। কিন্তু এটা করলে ১০ কোটি লোক করবে।
এই আন্দোলনে শামিল হওয়া মানুষ নিজেই উপলব্ধি করছে তাঁদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। যখনই কোনও কৃষক তাঁর বাড়িতে পতাকা তুলবে তখনই তাঁর মনে হবে এই সরকার আমার দুশমন। যখন যে পারবে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
মানুষের মধ্যে চেতনা তৈরি হবে। দেশের সর্বত্র এলাকা থেকে সেই ছবি আমাদের কাছে এসে উপস্থিত হচ্ছে। এটা গণতান্ত্রিক জনমত গঠনের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে চলতে দেওয়া হলে গনতন্ত্র থাকবে। আর যদি গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়া হয়, তখনই তো মানুষ অন্য পথে যাবে। মানুষের যখন গণতান্ত্রিক পথ থাকে না, তখনই সে অগণতান্ত্রিক পথে যায়। তখনই তো লোক উগ্রপন্থার দিকে চলে যায়।
সরকার চাইছে কৃষকদের গণতান্ত্রিক পথ থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। যা আমাদের দেশের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনবে। আজকে আমরা সেকারণেই ‘কালা দিবস’ পালন করলাম। কোটি কোটি শ্রমিকরা এতে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে। ছাত্র, যুব, মহিলা তাঁরাও এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে।
গোটা দেশের মানুষ ব্যক্তিগতভাবে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছে। এটা আমাদের গণ আন্দোলনের প্রতি ব্যাপক সমর্থন। মানুষ যখন বুঝবে অন্যান্য হচ্ছে সে যখন সুযোগ পাবে এর বদলা নেবে। এই আন্দোলন মানুষের মধ্যে চেতনা বৃদ্ধি করছে। যে কোনও জমায়েতের চেয়ে এটা দশগুণ বেশী এফেক্টিভ।
আমরা বলছি এই আন্দোলন, সফল আন্দোলন। আমরা কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়েছি। এই আন্দোলনকে সামনে রেখে আগামী দিনে নতুন নতুন কর্মসুচি আমরা গ্রহণ করব।
সিঙ্ঘু, টিকরি , গাজিপুর পেরিয়ে কৃষকদের আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়েছে। একাধিক রাজ্যে পঞ্চায়েত হয়েছে। বিশেষ করে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন ছিল সেখানেও মহাপঞ্চায়েত হয়েছে। তারপর তিনটি রাজ্যে অবিজেপি সরকার গঠন হয়েছে। এই জায়গা থেকেও আপনাদের জন্য সমর্থন মিলেছে বলে মনে করছেন?
হান্নান মোল্লাঃ কৃষক আন্দোলন, কৃষকদের মনে বড় দাগ কেটেছে। কৃষকরা বুঝতে পেরেছে এই সরকার আমাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের আগে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে আমরা ডাক দিয়েছিলাম “বিজেপিকে হারাও”। এই “বিজেপিকে হারাও” ডাক দিয়ে আমরা কৃষক নেতারা বিভিন্ন রাজ্যে জনসভা করেছি।
আমরা মানুষকে বলেছি বিজেপিকে হারাও। কারণ, এই বিজেপি সরকার আমাদের দুষমন। আমাদের কথা শুনছে না। তাই বিজেপিকে হারাও। কিন্তু কাকে ভোট দেবে মানুষ সেটা আমরা একবারও বলিনি। আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করিনি। আমরা জানি মানুষ ঠিক করবে কাদের ভোট দেবে। আমরা কাকে সেটা বলব না।
কিন্তু বিজেপিকে ভোট দিও না এটাই ছিল আমাদের এক নম্বর শ্লোগান। আমাদের এই শ্লোগান কার্যকরী হয়েছে। অধিকাংশ রাজ্যের কৃষকরা বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। যেখানে বিজেপি জিতেছে সেখানেও কৃষকরা বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। কৃষকরা শুধু অন্নদাতা নয়, কৃষকরা ভোটদাতাও।
তাঁর পেটে যদি তুমি লাথি মারো তাহলে বদলা নেওয়ার সমস্য ভোটে বদলা নিতে পারে। আমরা তা দেখেছি। এমনকি উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার প্রতিফলন হয়েছে। আগামী দিনে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং পাঞ্জাবের নির্বাচন রয়েছে। আগামী দিনেও আমাদের এই শ্লোগান জারি থাকবে। আমাদের পরবর্তী আন্দোলন হবে ‘মিশন উত্তরপ্রদেশ’। অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের আমরা বলেছি এবং আরও বলব এই বিজেপিকে হারাও।
যা হবে আমাদের মূল শ্লোগান। বাকি আন্দোলন যেমন চলেছে, চলবে। আবার ২৮ তারিখ এবং ৩০ তারিখ বসে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসুচী কী হবে তা স্থির করব। কারণ, সপ্তাহে দু’একটা কিছু না করলে আন্দোলন বন্ধ হয়ে গেছে বলবে। লম্বা আন্দোলন এর আগে হয়নি ভারতবর্ষে। অভিজ্ঞতাও নেই কেমন আন্দোলন হয়। সেটা আমাদের কাছে নতুন। দেশের ক্ষেত্রেঅ নতুন।
সুতরাং আমরা এই আন্দোলনকে জানি একসঙ্গে ২০ লক্ষ লোক একসঙ্গে বসে থাকবে। আন্দোলনের পদ্ধতি রয়েছে। কিছু লোক আসবে। আবার কিছু যাবে আবার কিছু চলবে। কিন্তু আমরা তো অবরোধ ছাড়িনি। কখনও ১০ হাজার, কখনও ২০ হাজার। চলবে এই আন্দোলন। কখনও কেউ আসছে আবার কখনও কেউ যাচ্ছে। এটা চলতে থাকবে। আমাদের এই আন্দোলনের জোর হচ্ছে কৃষকরা নিজেরা।
কৃষকরা বলছে আমরা মরে যাবো। কিন্তু জয় না হওয়া অবধি কোথাও যাবো না। এই যে কৃষকদের মনোবল এটার জন্যেই আন্দোলন জারি রয়েছে। আজও ৫০০ সংগঠন একসঙ্গে রয়েছে কৃষকদের জন্য।
সরকার আপনাদের জেদের পরীক্ষা নিচ্ছে মনে করছেন? এই পরীক্ষায় পাশ করতে পারলে আপনাদের আন্দোলন অনেকটা এগোবে বলে মনে করছেন?
হান্নান মোল্লাঃ এই আন্দোলন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একতা নজির তৈরি হবে। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক আন্দোলন গণতান্ত্রিকভাবে জিতছে বলে গণতান্ত্রিক আন্দোলন উৎসাহিত হবে।
আপনাদের পরবর্তী পরিকল্পনা কী রয়েছে?
হান্নান মোল্লাঃ আমরা গত ছয় মাস ধরে একাধিক কর্মসুচী করে গিয়েছে। আগামী দিনেও এই কর্মসুচী জারি থাকবে। আগামী ২৮ তারিখ এবং ৩০ তারিখ বৈঠক হবে। তারপরেই আগামী আন্দোলনের রূপরেখা স্থির করা হবে। সেটা আমরা বসে ঠিক করবো।