লড়াই হবে ত্রিশঙ্কু, আসনরফা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ বাম-কংগ্রেস

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২১ এর লড়াই হবে ত্রিশঙ্কু৷ তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাম এবং কংগ্রেসের নেতৃত্ব। কিন্তু আসনরফা নিয়ে এখনও মুখ খুলতে নারাজ কেউই। কারণ, জোট এখনও রয়েছে আলোচনার টেবিলে।
এরই মধ্যে শনিবার বৈদ্যবাটি সিপি(আই)এমের পার্টি অফিসে যে বৈঠক হল তাতে জোটের আলোচনা যে ইতিবাচক হয়েছে তার পুর্বাভাস মিলেছে। অনেকে বলছেন শেষটার অপেক্ষায় রয়েছেন যদি শেষ ভালো হয়, সব ভালো হবে।
গত কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েক দফায় বৈঠক সেরে ফেলেছেন বাম, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। সুত্রের খবর, জোটের জন্য আব্বাস সিদ্দিকির দলকে বেশী আসন ছাড়তে রাজি রয়েছে তাঁরা।
তবে আইএসএফের জন্য কোন আনুপাতে বাম-কংগ্রেস আসন ছাড়ছেন সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। জোট যেহেতু তিন দলের মধ্যে তাই সময় নেওয়া স্বাভাবিক।
এর আগে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের জন্য চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন আব্বাস সিদ্দিকি। সেখানে প্রায় ৭০ টি আসন চেয়েছিলেন তিনি। মুলত দুই চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলী, নদীয়া সহ বীরভূমের বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দিতে চায় আইএসএফ।
একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি একাধিক আসন চেয়ে বসেন আব্বাস।
‘পিসি যাও যাও যাও’, বঙ্গ বিজেপির নতুন প্রচার
কিন্তু জোটের পক্ষে দাঁড়িয়ে আইএসএফের জন্য এতগুলো আসন ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈঠকে বসে কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ আলিমুদ্দিনের পর হুগলীর বৈদ্যবাটির সিপি(আই)এমের পার্টি অফিসে আলোচনা আরও কিছুটা এগোয়।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ সেলিম, প্রদীপ ভট্টাচার্য, আবদুল মান্নান এবং নৌসাদ সিদ্দিকি। সূত্রের খবর, আরও কিছুটা আলোচনা করেই একেবারে সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ নেতৃত্ব।
যদিও ২১ এর আগে একজোটে মাঠে নেমেছে বাম-কংগ্রেস। ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভায় একযোগে জনসভা করছেন দুই পক্ষের নেতৃত্ব। বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্রিগেডের মঞ্চই যে তাঁদের কাছে জনমত তৈরির অন্যতম জায়গা হবে বলে মনে করছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। বাঁধা হয়েছে গান ও।