সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ আজ, দুশ্চিন্তায় তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর

ফলে একদিকে পিকে অন্যদিকে সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এর সাঁড়াশি চাপে আপাতত যে নাভিশ্বাস উঠেছে তা স্পষ্ট।

দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আজ আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে তৃণমূল। তারপরই কার্যত জলের মত পরিস্কার হয়ে যাবে পুরভোটের প্রার্থী তালিকার চিত্র।

সেই তালিকা প্রকাশ আগেই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন শ্রীরামপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর রমা নাথ।

সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শ্রীরামপুর ডাউন ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন এদিন ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিলেন কাউন্সিলার রমা নাথ। ডাউন শেওড়াফুলি লোকাল আসতেই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ Budget 2020-21 LIVE: সরাসরি বিধানসভা থেকে

ট্রেনের ধাক্কায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তাঁর দেহ। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটালেন তিনি, কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁর অনুরাগীরা।

পুরসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা। কাউন্সিলারদের একাংশের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। কারণ তৃণমূলের একটি সূত্রের তরফে জানা গিয়েছে পুরসভা নির্বাচনে একাধিক ওয়ার্ডের প্রার্থী বদল করার চিন্তাভাবনা করছে দল।

হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে শাসকদল?

সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে ঘাসফুল শিবিরের ২০ টি আসন হাতছাড়া হওয়ায় বাংলার বুকে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেছে পদ্ম শিবির।

১৯ -এ হাফ, ২১ -এ সাফ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পদ্ম শিবিরের লোকসভা নির্বাচনে অপারেশন বাংলা কিছুটা হলেও সফল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নেতৃত্বরা।

তবে এক্ষেত্রে পদ্মের বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ হিসাবে অনেকেই দায়ী করেছেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও জনসংযোগের অভাবকে।

তাই মসনদে আধিপত্য কায়েম রাখতে আসন্ন পুরভোট ও সর্বপরি বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই দ্রুততার সঙ্গে ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এরপরই গোটা বাংলা ঘোরে পিকের টিম।

ভোটগুরুর পরামর্শ মেনে জনসংযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দিদিকে বলো কর্মসূচী চালু করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

তাতে অনেকটাই সাফল্য মিলেছে বলেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।

এরপর পুরভোটকে সামনে রেখে কাউন্সিলর বদলের যে চিন্তাভাবনা দল নিচ্ছে তাও পিকের মস্তিস্ক প্রসূত বলেই জানা যাচ্ছে।

কারণ লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে লিড দেওয়ার নিরিখে কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০টিরও বেশী ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।

সম্প্রতি তৃণমূলের কাউন্সিলরদের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেন প্রশান্ত কিশোর।

সেই বৈঠকেই তিনি কাউন্সিলরদের প্রশ্ন করেছিলেন,“এত বৈভব কেন?”

জনগণের কাছে পৌছতে হলে সমস্ত বৈভব ছেড়ে সাধারণভাবে পৌঁছতে হবে।

সেই পরামর্শকেই শিরোধার্য করে ময়দানে নেমেছিলেন কাউন্সিলরা। কিন্তু তাতেও দুশ্চিন্তার কালো মেঘ যেন কাটছে না।

সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ :কারা বাদ যেতে পারেন প্রার্থী তালিকা থেকে?

সূত্রের খবর, যে সমস্ত কাউন্সিলররা লোকসভা ভোটে লিড দিতে পারেননি বাদের খাতায় বেশিরভাগ রয়েছেন তাঁরাই।

এছাড়াও সংরক্ষণের খসড়া তালিকা থেকে যারা বাদ গিয়েছেন, তারাও যে টিকিট পাবেন এমন কোনো নিশ্চয়তা দল তাদের দেয়নি।

ফলে একদিকে পিকে অন্যদিকে সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এর সাঁড়াশি চাপে আপাতত যে নাভিশ্বাস উঠেছে তা স্পষ্ট।

সম্পর্কিত পোস্ট