গণবন্টনকে অভিযোগমুক্ত করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ খাদ্যমন্ত্রীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা আবহে রেশন দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার হতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। সচিব বদলের পরও এই অভিযোগ পিছু ছাড়েনি রাজ্যের শাসক দলের।

সম্প্রতি আমফানের পর আবার যুক্ত হয়েছে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। মোদ্দা কথা রেশন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্যের শাসক দল। এই অবস্থায় প্রশাসন ও গণবন্দন ব্যবস্থাকে অভিযোগ মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।গণবণ্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে রাজ্য সরকার ই-অফিস চালু করছে।

পাশাপাশি উপভোক্তাদের জন্য একটি নতুন অ্যাপ ও একটি পোর্টাল চালু করা হচ্ছে বলে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দিনে খাদ্য দফতরের সমস্ত কাজকর্ম কম্পিউটারের মাধ্যমেই হবে। পুরসভা অথবা পঞ্চায়েত থেকে কারও ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা মাত্রই অন লাইনে সেই তথ্য চলে আসবে খাদ্য দফতরের হাতে। ফলে মৃত ব্যক্তির কার্ড ব্যবহার করে কেউ রেশন তুলতে পারবেন না।

রেশন সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ জানানোর জন্য চালু হবে অটো টোল ফ্রি নম্বর। তাতে অভিযোগকারীর কন্ঠস্বর আপনা থেকেই রেকর্ড হয়ে যাবে। অনলাইনেই রেশনের সমস্ত ধরনের ফর্ম ডাউনলোড করা যাবে।

সরকারি কর্তাদের দাবি, এর ফলে রেশনের দুর্নীতি যেমন কমবে তেমনি রেশন গ্রাহকদের হয়রানির অবসান হবে বলে আশাবাদী খাদ্যমন্ত্রী।

চলল না বেসরকারী বাস, বারাসাতে চরম দুর্ভোগে নিত্য যাত্রীরা

পাশাপাশি আগামী দিনে খাদ্য দফতরের অফিস পুরোপুরি পেপারলেস হয়ে যাবে বলেও তিনি জানান। তাঁর দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর যাবতীয় কাজকর্ম অনলাইনে হবে। ফাইল চালাচালির আর প্রয়োজন হবে না।

উল্লেখ্য, বর্তমানে যেভাবে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে তাকে আদৌ ভলোচোখে দেখছেন না রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

বহুক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিলাদের বিরুদ্ধে উঠেছে রেশন চুরি করার অভিযোগ। পাশাপাশি ভালো চালের পরিবর্তে নিম্নমানের চাল দেওয়া ও পরিমাণ কম দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

রেশন সংক্রান্ত নানা রকম অফিশিয়াল কাজকর্মেও রয়েছে গাফিলতির ঢালাও অভিযোগ। এই সমস্ত বিষয়ে গুলিকে লাগাম কষতে এবার ত‍ৎপর হলেন খাদ্যমন্ত্রী।

তাঁর সাফ কথা কোথাও দুর্নীতির সঙ্গে আপস করা হবে না। বাস্তুঘুঘুদের খুঁজে বের করা হবেই।

সম্পর্কিত পোস্ট