বিধানসভা নির্বাচনের আগে ১৬,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত সরকারের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের মুখে রাজ্যে কর্মসংস্থানের পথ আরও প্রশস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।বুধবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তিনি জানান ১৬,৫০০ শূন্যপদে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ করবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
এ ছাড়া নতুন করে টেট আয়োজনের ঘোষণাও করেছেন তিনি। একইসঙ্গে নিরাপত্তায় জোর এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন রাজ্য পুলিশে আরও তিনটি নতুন ব্যাটেলিয়ন তৈরি হচ্ছে। এই তিন ব্যাটেলিয়নেও ৩০০০ নিয়োগ করা হবে।
এদিন মমতা বলেন, এখন ১৬,৫০০ শূন্যপদ রয়েছে। টেট উত্তীর্ণ ২০,০০০ চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে ১৬,৫০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। বাকিদের দফায় দফায় নিয়োগ দেবে সরকার।
আগামী ডিসেম্বর থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জানুয়ারি – ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবে এই প্রক্রিয়া। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন অবশিষ্ট টেট উত্তীর্ণদের দফায় দফায় নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার।
এছাড়া টেটের জন্য নতুন করে ২.৫ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এই আবেদনকারীদের জন্য অফলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে পর্ষদ। এর ফলে যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে শূন্য পদে নিয়োগের ঘোষণায় স্বভাবতই খুশি রাজ্যবাসী। একুশের ভোটকে সামনে রেখে এমন ঘোষণা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/india-and-china-agreed-on-deescalation-plan/
কোভিড পরিস্থিতিতে থমকে গিয়েছে অনেক কাজই। নানা টানাপোড়েনের জেরে শিক্ষক নিয়োগও হচ্ছিল না বেশ কয়েক বছর। কিন্তু এবার ফের করোনাকে হারিয়ে ছন্দে ফেরার পালা।
আগের মতো সমস্ত কাজ জোরকদমে শুরু করতে হবে। চার রূপরেখা ঠিক করতে এদিন নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
রাজ্যের নিরাপত্তায় গুরুত্ব দিয়ে এদিন গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য পুলিশে নতুন করে আরও তিনটি ব্যাটেলিয়ন তৈরি হচ্ছে। পাহাড়ের নিরাপত্তায় গোর্খা ব্যাটেলিয়ন, জঙ্গলমহলের জন্য একটি ব্যাটেলিয়ন এবং কোচবিহারের ‘নারায়ণী সেনা’ তৈরির কথা তিনি জানিয়েছেন।
এই তিন ব্যাটেলিয়নে অন্তত ৩০০০ নিয়োগ হবে বলে ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে কীভাবে, কবে থেকে নিয়োগ হবে, কারা সুযোগ পাবেন, সেসব রূপরেখা স্থির করার দায়িত্ব তিনি রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের উপরই ছেড়েছেন।
এই ঘোষণায় অনেকে রাজনৈতিক চাল হিসেবে দেখলেও আদতে কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ খুশি রাজ্যের সাধারণ নাগরিকরা।