‘ মাটির সৃষ্টি ‘ প্রকল্পে বড় সাফল্য সরকারের, উপকৃত হবেন আড়াই লাখ কৃষক

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক : রাজ্য সরকার গত বছর চালু হওয়া মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলার তেরো হাজার একর পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে গ্রামীণ মানুষকে স্বনির্ভর করেছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রামের মত ছয় জেলার অনুর্বর পঞ্চাশ হাজার একর পতিত জমিকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে জমি উপযোগী করে তুলে পুকুর খনন করে মাছ চাষ এবং জমিতে পশু পালন করা হচ্ছে।

এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে আড়াই লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন বলে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই দিকে কৃষিঋণ দিতে কুড়ি লক্ষ কৃষককে নতুন কিষান ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

অনাবাদী জমি হয়ে উঠবে সুজলা সুফলা। এমনই স্বপ্ন দেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৈরি হয়েছিল প্রকল্প ‘‌মাটির সৃষ্টি’‌। কাজ শুরু হয়েছিল রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায়। কারণ, ওই জেলাগুলিতে কৃষকদের হাতে জমি থাকলেও তার বেশিরভাগ অনাবাদী পড়ে থাকে। তাই কৃষকের দারিদ্র ঘোচে না।

অনাবাদি জমিতে ফসল ফলানোর জন্য ‘‌মাটির সৃষ্টি’‌ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল মে মাস থেকে। ফলে কয়েক মাসের মধ্যেই সমাজের এক প্রান্তে পড়ে থাকা মানুষজনের জীবন বদলাতে শুরু করেছে।

যে ৬টি জেলায় ‘‌মাটির সৃষ্টি’‌ প্রকল্পের কাজ চলছে, তার মধ্যে আছে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর। এখনও ৬ মাস হয়নি, কিন্তু মানুষের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনটা ধরা পড়েছে নানা তথ্যে। পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ওই প্রকল্পের আওতায় আনার কথা ছিল ২০১২ একর জমি।

ইতিমধ্যে প্রকল্পের সুফল পেয়েছে ২০০৪ একর। তাতে ১০০ দিনের কাজ পেয়েছেন ১২,০৪৫ জন। কর্মদিবস তৈরি হয়েছে সাড়ে ৩ লক্ষ। ৩,৪১০ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন। ৪০৮ জন মৎস্যজীবীও উপকৃত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সহায়তায় এই প্রকল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩২০ জনের।

পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, প্রথমে অনাবাদি জমিতে ক্ষুদ্রসেচের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই জমিতে রোপণ করা হয়েছিল আম, কলা, পেয়ারা ও অন্যান্য ফলের গাছ। দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক উন্নয়নের জন্য রোপণ করা হয়েছে শাল ও সেগুন গাছ। ক্ষুদ্রসেচের জন্য ‘‌জল ধরো জল ভরো’‌ প্রকল্পে পুকুর খনন করা হয়েছিল। সেই পুকুরগুলিতে এখন মাছচাষ হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট