‘যশ’ মোকাবিলায় নবান্নের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গেলেন রাজ্যপাল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হয়ে নজিরবিহীন ভাবে ‘যশ’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে নবান্নে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। আর তাঁর যাওয়ার খবর পেয়েই ১৪ তলা থেকে নীচে নেমে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাগত জানাতে নীচে নামেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তারপরে সোজা দোতলায় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে মুখ্যমন্ত্রী, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব দুষ্মন্ত নারিওয়ালা, দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান, স্বরাষ্ট্রসচিব ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে ‘যশ’ মোকাবিলায় রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি ও প্রস্তুতি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য নেন।
কার্যত রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ বেনজির। গতবছর আম্ফান মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি জগদীপ ধনকরকে। নবান্নে যাওয়ার আগে আলিপুর আবহাওয়া দফতরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে পূর্বাঞ্চলীয় প্রধানের কাছে ‘যশ’-এর গতিপ্রকৃতি নিয়ে একটি ভিডিও প্রেসেন্টেজেশন দেখেন তিনি।
তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ‘ বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকার পুরোদমে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই নিয়ে আমি মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন আধুনিকতার জেরে পূর্বাভাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একেবারে সঠিক হয়। আমি সব খবর নিয়ে আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জানাব।’
‘যশ’ মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ লড়াইয়ে প্রশংসা করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, এদিন সকাল থেকেই উপকূল রক্ষাবাহিনীর প্রধান, বিএসএফ কর্তা, নৌসেনার প্রধানের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে।
পাশাপাশি, রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্য সচিব এবং মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে বলেও জানা গেছে। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে রাজ্যে আগত ঘূর্ণিঝড় নিয়ে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
আপাতত বিতর্ককে দূরে সরিয়ে রেখে সাধারণ মানুষকে বিপদের হাত থেকে বাঁচানোর দিকেই নজর এখন রাজ্যের প্রশাসনি্ক ও সাংবিধানিক প্রধানের।