দুই কর্মীর ‘ছাঁটাই’ নিয়ে রাজভবনের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে তলব হাইকোর্টের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ফের সংঘাতে জড়াল রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের । এবার দুই কর্মীর ‘ছাঁটাই’ নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হল। এই ঘটনায় সোমবার রাজভবনের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট ।

২ ফেব্রুয়ারি সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে তাঁকে। অভিযোগ, গত সেপ্টেম্বরে রাজভবনের দুই কর্মীকে কোনও কারণ না দেখিয়েই ‘রিলিজ লেটার’ ধরানো হয় রাজভবনের তরফে।

পার্থপ্রতিম ঘোষ ও মৌমিত্রা সরকার নামে দুই রাজভবনের কর্মীকে ‘রিলিজ’ করা হলেও কেন তা করা হল তা নিয়ে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এরইমধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে ওই দু’জন চাকরির জন্য গেলে, রাজ্য জানায় এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনও খবর নেই।

অভিযোগ, রাজভবনে একাধিকবার আবেদন করা হলেও তাঁরা কোনও সদুত্তর পাননি। এমনকি গত চার মাস ধরে তাঁরা বেতনও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তোলেন। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি রাজভবনের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে আদালতে হাজির হতে হবে।

উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত গত নভেম্বর। রাজভবনে কর্মরত পার্থপ্রতিম ঘোষ, মৌমিত্রা সরকারকে আচমকাই রিলিজ অর্ডার দেওয়া হয়। সাধারণত রাজভবনের কর্মীদের নিয়োগ করে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুনঃ কালো টাকাকে সাদা করছে বিজেপিতে গিয়ে, নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ মমতার

তাই রিলিজ অর্ডার দেওয়ার পর তাঁদের রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলা হয়। তাঁরা দু’জনেই রিলিজের চিঠি নিয়ে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাজ্যের তরফে তাঁদের বলা হয়, এই মুহূর্তে অন্য কোনও পদে নিয়োগের কোনও সুযোগ নেই। তাই তাঁরা যেন সরকারি নির্দেশে রাজভবনেই কাজ চালিয়ে যান।

রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ নিয়ে পার্থপ্রতিম ঘোষ ও মৌমিত্রা সরকার ফের রাজভবনে যান। কিন্তু সেখান থেকে তাঁদের আবার ফেরত পাঠানো হয়। এরপর আরও চারবার তাঁরা রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তবে কোনও সাড়া পাননি।রিলিজ অর্ডার হাতে পাওয়ার পর থেকে তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

এরপর কোনও উপায় না পেয়ে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দু’জন কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি রাজশেখর মন্থার এজলাসে সোমবার মামলা ওঠে। তাতেই বিচারপতি তলব করেন রাজভবনের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে।

তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় রাজ্যকে না জানিয়ে কেন রিলিজ লেটার দেওয়া হল? কেন ঠিকমতো কর্মীদের সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ করা হয়নি? কেন তাঁদের আবেদনের কোনও জবাব দেওয়া হয়নি? সেসব সবিস্তারে জানাতে হবে রাজভবনের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে। ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁর জবাব তলব করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট