সুনীলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে চিঠি তৃণমূলের, দলত্যাগ কটাক্ষ মান্নানের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে দলত্যাগী আইন অনুযায়ী তাঁর সাংসদ সদস্য পদ বাতিল করার দাবি জানাল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে লোকসভা স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়কে উল্লেখ করা হচ্ছে এই চিঠিতে।

তৃণমূলের তরফে এই চিঠির খবর প্রকাশ্যে আসতেই শাসকদলকে আক্রমন শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা থাকা উচিত। কারণ উনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন দল থেকে বিধায়ক ভাঙিয়েছেন। উনি কী জবাব দেবেন নতুন প্রজন্মের কাছে? আজ সুনীল মন্ডলের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে উনি কী প্রমান করতে চাইলেন? এতদিন আমরাও অনেক চিঠি দিয়েছি তাতে কী লাভ হয়েছে?”

রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, ২০১১ থেকে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল কংগ্রেস এ রাজ্যের বাম-ডান এবং বিজেপি থেকে বিভিন্নভাবে কর্মী সমর্থক এবং বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে এসেছেন। তখন শাসকদল বিধানসভার অধ্যক্ষকে আইনি চিঠি দেয়নি কেন? এই নিয়ে মামলা হাইকোর্টে হয়েছিল।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/a-unique-example-is-that-ashani-mukherjee-went-to-the-hospital-and-handed-over-the-swasthya-sathi-to-the-patients-family/

যদি সুনীল মণ্ডলের এক্ষেত্রে এই ফর্মুলা অ্যাপ্লাই করা হয় তাহলে এই ফর্মুলা অন্যান্য বিধায়কদের ক্ষেত্রে হয়নি কেন? কার্যত এই একই প্রশ্নে শাসক শিবিরকে বিঁধলেন আব্দুল মান্নান।

অন্যদল থেকে বিধায়ক যারা তৃণমূলে এসেছেন সেইসব দলের তরফে অধ্যক্ষকে চিঠি দিলেও তা নিয়ে বিগত কয়েক বছরে উচ্চবাচ্য হয়নি।  রাজনৈতিক মহলের মতে,  এক দেশে দুই আইন হতে পারেনা।

তারা আরও বলছেন, লোকসভা-বিধানসভার আইন মানতে বাধ্য সুনীল মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে যেমন চিঠি দিয়েছে শাসক, একই চিঠি রাজ্যের বাম কংগ্রেসও করেছে তাদের দলের বিধায়কের দল ত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে। তখন তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্বেগ দেখা যায়নি কেন?

যদিও এই বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি শাসক শিবির।

সম্পর্কিত পোস্ট