১২ ঘন্টার বাংলা বনধে রাজ্যের ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বামেদের আমলে বছরে তিন থেকে চারটি বনধ হতই। ৩৪ বছরের বামেদের রাজত্ব শেষ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেছিলেন ছবি বদলানোর।

তবে ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে তিনি বলেছিলেন এই সরকার বনধ সমর্থন করে না। সেই মোতাবেক দীর্ঘ ১০ বছর কোন বনধ তৃণমূল সরকার যেমন ডাকেনি। একইসঙ্গে তারা সমর্থনও করেনি।

চলতি মাসের ১১ তারিখ বাম কংগ্রেসের দশটি যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

আহত হয় প্রচুর বাম ছাত্র নেতা। এই ঘটনার প্রতিবাদে ১২ তারিখ ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দেয় বামেরা। সমর্থন করে কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকীর দল।

যদিও গোটা বাংলা জুড়ে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া তেমন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরী হয়নি। তবে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে এমনি তথ্য সামনে এসেছে।

তামিলনাড়ুতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত ১১

যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন সময়ে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে বনধ করলে সবথেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হন খেটে খাওয়া মানুষরা। তার প্রভাব পড়ে রাজ্যের অর্থনীতিতেও। তাই সকলের উচিত বনধের না করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করা।

ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স -এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে গোটা বছরে বামফ্রন্টের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধেই ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। ২০১১ সালে প্রতি ১২ ঘণ্টা বনধে ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৮০৪ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে বাম এবং বিজেপি-র ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল।

উল্লেখ্য, লকডাউন আর কোভিডের জেরে রাজ্যের অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাই রাজ্যের আমজনতাও বনধের বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট