বনধে নৈতিক সর্মথন তৃণমূলের, নেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি-ধোঁয়াশায় সরকারি কর্মচারীরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পুরোপুরি বনধের বিরোধিতা করেছে শাসকদল তৃণমূল। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে এবারে মঙ্গলবার কৃষকদের ডাকা ভারত বনধ কে সমর্থন জানিয়েছে শাসকদল।
পাশাপাশি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে এই বনধের প্রতিবাদ যেমন তারা করবে না, তেমন রাস্তায় নেমে বন্ধের কোনো কর্মসূচি পালন করবে না। এতেই ধোঁয়াশার মধ্যে পড়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।ব
বনধকে কেন্দ্র করে কেমন হবে পরিস্থিতি ? তা বুঝতে পারছেন না কেউই। এবারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অফিসে উপস্থিতির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি সরকার।
ফলে এবারের বনধের দিন তারা যদি সময় মত অফিস পৌঁছতে না পারেন! তাহলে সেক্ষেত্রে বেতন কাটা যাবে কিনা সে বিষয়েই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
সোমবার মেদিনীপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন ” ২০১১ সাল থেকে আমরা ক্ষমতায় আসার পর কোনদিন বনধ কে সমর্থন করিনি। সরকারে থেকে সেটা আমরা কখনই করতে পারিনা। কিন্তু মঙ্গলবার কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।”
প্রসঙ্গত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বনধের সমর্থন জানিয়েছে ষোলটি রাজনৈতিক দল। যার মধ্যে রয়েছে সমস্ত অবিজেপি ইউনিয়ন।
সমর্থন জানিয়েছে বাম, এনসিপি, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, টিআরএস এবং আপ।
আজ ১৪ দিনে কোনো সুরাহা না পেয়ে অগত্যা বনধ ডেকেছে কৃষকরা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পাঁচ দফায় বৈঠক করেছে কৃষক সংগঠনগুলি।
কিন্তু তিনি কোনো সমাধান সূত্র বেরোয়নি। কৃষকরা অনড় থেকেছেন তাদের আইন প্রত্যাহারের দাবিতে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের বলছেন, আসন্ন ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলের কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ডাকা বনধকে সমর্থন জানানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
যেহেতু রাজ্য সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে তাই পশ্চিমবঙ্গে এর প্রভাব যথেষ্ট পড়বে। কারণ ২০২১ এর নির্বাচনের আগে বামেরা কিছুটা হলেও তাদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার পথ কে কেন্দ্র করে সারাদিনের কি পরিস্থিতি হয় এবং এরপর কেন্দ্র সরকার কী ভূমিকা নেয় কৃষক আন্দোলন এবং কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়ে সেদিকে নজর থাকবে গোটা দেশের ।