পুর্ব লাদাখের সেনার জন্য স্মার্ট তাঁবুর ব্যবস্থা ভারতের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মে মাস থেকে শুরু হয়েছে বিবাদ। কিন্তু দুই পড়শি রাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক এখনও তলানিতে। একধিক বৈঠকের পরেও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। এবার পুর্ব লাদাখে সেনা জওয়ানদের থাকার জন্য উন্নত ব্যবস্থা করল কেন্দ্র।
নভেম্বর মাসে এই এলাকা কার্যত বরফের আস্তরণে ঢাকা পড়ে যায়। প্রায় ৪০ ফুট বরফ পড়তে দেখা যায় এই এলাকায়। তাপমাত্রা নেমে যায় মাইনাস ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই অবস্থায় সেনা জওয়ানদের যাতে থাকার কোনও অসুবিধা না হয় সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, শীতকালে সেনাদের যাতে না কোনও রকম অসুবিধা হয় তার জন্য এই স্মার্ট তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেনাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জল, গরমের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ এবং স্বাস্থ্যবিধি এবং স্বচ্ছ্বতার বিষয়ে সমস্ত ব্যবস্থা থাকবে স্মার্ট ক্যাম্পগুলিতে।
The new Army smart camps being set up in Ladakh are in areas which receive 40 feet of snow with -40 degree temperatures in windchill. Proper heating, water and electricity provision. pic.twitter.com/xTPSePNmx2
— Vishnu Som (@VishnuNDTV) November 18, 2020
কয়েকমাস ধরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চিন। সেনা এবং আধিকারিক বিভাগের একাধিক বৈঠকের পরেও সেনা সরাতে রাজি নয় পিপলস লিবারেশন আর্মি। পাল্টা চিনকে বিন্দুমাত্র জায়গা ছাড়তে নারাজ ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা চিন বললেও তা ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই এই তাঁবু তৈরি করেই থাকতে হবে সেনাকে।
গত কয়েকমাস ধরে চলা পুর্ব লাদাখের পরিস্থিতি শীতকালে আরও জটিল হবে এটা আগে থেকেই ধরে নেওয়া হচ্ছিল। গত মাসেই চিনের একটি সংবাদ মাধ্যম পুর্ব লাদাখে লাল ফৌজের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনে। যেখানে দেখা যায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরানো তো দুরের কথা সেখানে থাকার জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। তারপর লাদাখের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নিজেই উপস্থিত হন ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
গত কয়েকমাস ধরে পুর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাত চরমে পৌঁছায়। ১৫ জুন চিনা ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে শহীদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান। পাল্টা চিনের পার্য ৪০ জন সেনা মৃত্যু হয় বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তারপর থেকে এখনও অবধি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। চিনের চোখে চোখ রেখে জবাব দিতেই স্মার্ট তাঁবুর ব্যবস্থা করেছে ভারত।