‘ভারত জোড়ো’ শেষে নতুন রাহুলের দেখা মিলতে পারে
দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পাপ্পু। উত্তর ভারতে অনেকেই কারণে-অকারণে রাহুল গান্ধিকে এই সম্ভাষণ করে থাকে। এতে সম্মান নেই, বদলে আছে একরাশ ব্যাঙ্গ। তারা সকলেই যে বিজেপি সমর্থক বা বিজেপির ভোটার এমনটা নয়। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের তৈরি ন্যারেটিভের দ্বারা প্রভাবিত। এমনকি বহু কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক মনে করেন, গান্ধি পরিবারের এই উত্তরাধিকারীর রাজনৈতিক বাস্ত বোধের অভাব আছে।
এই ভাবনা ঠিক না ভুল তা তর্ক সাপেক্ষ। কিন্তু রাহুলের নানান পদক্ষেপ এই নিয়ে বিতর্ককে বারবার জল-বাতাসা সহযোগে ইন্ধন দিয়েছে। তবে এবার বোধহয় ‘পাপ্পু’ যুগের অবসান ঘটতে চলেছে। অন্তত ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এযাবতকালে কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধির সেরা সিদ্ধান্ত হল এই ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় বের হওয়া। এর ফলাফল ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে। মৃত সঞ্জীবনীর মতো করে জলটা আবার যেন জেগে উঠেছে। যে অন্ধ্রপ্রদেশে কংগ্রেস প্রায় মুছে গিয়েছে, সেখানেও সাড়া ফেলে ভারত জোড়ো যাত্রা। এবার ধীরে ধীরে উত্তর ভারতে প্রবেশ করবে রাহুল গান্ধির এই পদযাত্রা। যা ‘হাওয়া’ তাতে ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে রণকৌশল সাজাতে হবে গেরুয়া শিবিরকে।
বছর ঘোরার আগেই এই পুরসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার মুখে
কিন্তু এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল, এই যাত্রা শেষে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে রাহুল সেই নেতা হবেন, যিনি দিনের পর দিন মাঠেঘাটে চষে বেরিয়ে আমজনতার সুবিধা-অসুবিধা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন। তাঁর এই অভিজ্ঞতা সর্বভারতীয় রাজনীতিতে আর কারোর নেই। মোদি-শাহ’রা এভাবে দেশকে জানেন না, চেনেন না। গত তিন-চার দশকে আর কোনও নেতা এভাবে ভারতকে জানার চেষ্টা করেননি।
এই অভিজ্ঞতা রাহুল গান্ধিকে সম্পূর্ণ বদলে দেবে বলে তাঁর সমর্থক-অনুগামীদের বিশ্বাস। তার ছাপ রাজনীতির ময়দানেও প্রতিফলিত হবে বলে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে কংগ্রেস। আর সত্যি যদি তাই হয়, তবে এই রাহুলকে আর ‘পাপ্পু’ বলে লাভ হবে না। মোকাবিলা করাও কঠিন হতে পারে!