টিকাকরণে নয়া নিয়ম কলকাতা পুরসভার, পেশা অনুযায়ী নির্দিষ্ট করা হল বার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার থেকে নতুন পদ্ধতিতে হবে টিকাকরণ। এমনটাই জানা গিয়েছে কলকাতা পুরসভা সূত্রে। পেশার নিরিখে চিহ্নিত হবে সুপার স্প্রেডার। সেই মোতাবেক করা হবে টিকাকরণ। টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে টিকাকরণ। তা আগেই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয় টিকাকরণ ক্ষেত্রগুলিতে বিশৃঙ্খলা রুখতে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে টিকাকরণ পদ্ধতি।
স্বাস্থ্যভবনের তরফে নেওয়া নতুন সিদ্ধান্তে বারের হিসাবে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে টিকাপ্রাপকদের অগ্রাধিকার। সোমবার টিকা পাবেন ৪৫ ঊর্ধ্বরা।
বৃহস্পতিবার, শুক্র ও শনিবার টিকা পাবেন হকার, রিকশাচালক, টোটোচালক, নিউজপেপার বিক্রেতা, সবজি বিক্রেতারা। সেক্ষেত্রে লাগবে আধার কার্ডের ফটোকপিতে স্থানীয় থানার স্ট্যাম্প। সবজি বিক্রেতাদেরও একই পদ্ধতিতে স্বীকৃতি দেবে বাজার কমিটি। পরিবহণকর্মীদের ক্ষেত্রে আধার কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স আবশ্যক।
সমাজের যেসব পেশার মানুষরা সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছাকাছি আসেন, যেমন হকার, সবজি ও মাছ বিক্রেতা, নিউজ পেপার বিক্রেতা, মুদি দোকানদার- তাঁদের প্রত্যেককেই অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গল-বুধ ও রবিবার কোনও টিকাকরণ হবে না।
করোনার পর মিউকরমাইকোসিস, মহামারি ঘোষণা কেন্দ্রের
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভেবেছিলেন বলার সুযোগ পেলে কথাগুলো ওই বৈঠকেই বলবেন।
কিন্তু তা না হওয়ায় অবশেষে প্রধানমন্ত্রীকে করোনা ম্যানেজমেন্টের একাধিক বিষয় নিয়ে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মুখ্যমন্ত্রী তার লেখা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যে কর্মরত সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ভ্যাকসিন দেওয়া দরকার।
যে গতিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে সরকারি কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই যত দ্রুত সম্ভব এদের টিকাকরণ জরুরি। যেহেতু তারা সরাসরি মানুষের সঙ্গে মেশেন, সরাসরি তাদের সঙ্গেই এসে কথা বলেন, তাই তারা সমাজের সুপার স্প্রেডার হিসেবে কাজ করে।
যে কারণে রাজ্য সরকার চাইছে তাদের অবিলম্বে টিকাকরণের কাজ সম্পন্ন করতে। বাংলা চাইছে এর জন্য দ্রুত কুড়ি লক্ষ ভ্যাকসিন রাজ্যকে দেওয়া হোক।