কনটেনমেন্ট জোনে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগান দেবে চলমান বাজার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে নতুন করে শুরু হয়েছে কড়া লকডাউন। এই অবস্থায় ওই এলাকাগুলিতে মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসের সংস্থান করতে চলমান বাজার নিয়ে এল পঞ্চায়েত দফতর।

শুক্রবার পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই যাত্রা শুরু হয় এই বাজারের । লকডাউন পর্বে মানুষের বাজারের সমস্যা সমাধানে রাজ্যের পঞ্চায়েতের অধীনস্থ “কমপ্রিহেন্সিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’ শহরের বাসিন্দাদের দরজায় হাজির করবে এই “চলমান বাজার’।

উত্তর-দক্ষিণ কলকাতা সহ সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউন সর্বত্র দেখা মিলবে এই চলমান বাজার গাড়ির । এই চলমান বাজার একটি ভ্রাম্যমান গাড়ি হলেও এখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু পাওয়া যাবে ।

কমপ্রিহেন্সিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সচিব সৌম্যজি‍ৎ দাস জানান , “কাঁচা সবজি থেকে মাছ মাংস আর মুদিখানাও মিলবে এই গাড়িতে । সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সব পণ্য নিজের ঘরে তৈরি ।

লকডাউনের দ্বিতীয় দিন, অসচেতন বারাসাতের মানুষ

রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকাগুলোতে মহিলা কর্মীরা নিজেদের হাতে এই শস্য ফলাচ্ছেন । গ্রামে গ্রামে হচ্ছে মাছের চাষ । সেই ফসল এবং মাছ পাওয়া যাবে এই চলমান গাড়িতে । এক্ষেত্রে জিনিসপত্রের মূল্য বাজার থেকে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কম দামে ।’

মন্ত্রীর কথায় এই পরিষেবার ফলে গ্রাম ও শহর উভয় অঞ্চলের মানুষ লাভবান হবেন। গ্রামের গরীব চাষীরা তাঁদের উ‍ৎপাদিত ফসলের দাম যেমন পাবেন, শহরের মানুষের জন্য থাকবে ন্যায্যমূলের সরবরাহের সুযোগ।

বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই কলকাতার মধ্যে বিশেষ করে সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের বিভিন্ন এলাকায় বয়স্ক বাসিন্দাদের কাছে ব্যাটারিচালিত ছোট ছোট ১০টি গাড়ির মারফত সবজি বাজার সরবরাহ করা শুরু হয়েছিল।

এবার ফের লকডাউনের সম্ভাবনা তৈরি হতেই রাজ্যের পঞ্চায়েতের অধীনস্থ “কমপ্রিহেন্সিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন’ আরও বড় এলাকা জুড়ে তাদের এই কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেওয়া পরিকল্পনা করেছে । সেইমত শুক্রবার থেকে কলকাতার লকডাউন এরিয়াতে ঘুরে মানুষের প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংস্থান করবে এই চলমান বাজার গাড়ি।

লকডাউনের জন্য আরও চারটি বড় গাড়ি দফতর থেকে নামানো হয়েছে । বর্তমানে ১৪টি চলমান সবজি গাড়ি শহর কলকাতায় ডোর ট্যু ডোর ঘুরে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু বিক্রি করছে।

যাতে লকডাউনে কোনও অবস্থাতেই মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে না হয় সেজন্যই এই ব্যবস্থা। শহরের মানুষ “ ৯৭৩৫৯২৯৪১৩” এই নম্বরে ফোন করলে থাকছে হোম ডেলিভারিরও সুবন্দোবস্ত।

সম্পর্কিত পোস্ট