আমেরিকা সাহায্য বন্ধ করলেই রক্ষা পাবে ইউক্রেনের মানুষ!

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ তিন সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে। যত দিন যাচ্ছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ইউক্রেনের পরিস্থিতি। ব্যাপক রুশ হামলায় শয়ে শয়ে মানুষ মারা যেতে শুরু করেছে।
ইউক্রেনের সেনার পাশাপাশি অসংখ্য নিরস্ত্র মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। এই অবস্থায় একমাত্র মার্কিন সাহায্য বন্ধ হলে তবেই রক্ষা পেতে পারে ইউক্রেনবাসী! এই যুদ্ধে আমেরিকা বা ন্যাটো কেউ সরাসরি অংশগ্রহণ করেনি।
কিন্তু ইতিমধ্যেই জো বাইডেনের দেশ প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র পাঠিয়েছে বা পাঠাচ্ছে ইউক্রেনকে। ন্যাটোর বাকি সদস্য দেশগুলোও একইরকমভাবে ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আর এতেই সামরিক শক্তির পাশাপাশি মানসিকভাবেও অনেকটাই তরতাজা হয়ে উঠেছে জেলেনস্কির দেশ।
আমেরিকা ও ন্যাটোর বাকি সদস্য দেশগুলির ব্যাপক সাহায্য সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সামরিক শক্তিতে পেরে ওঠা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু এই সাহায্য মানসিকভাবে কিছুটা হলেও চাঙ্গা করে তুলেছে ইউক্রেনকে। তার জেরেই তারা রাশিয়ার প্রবল আক্রমণ সত্বেও আত্মসমর্পণ করতে রাজি নয়।
হিজাব বিতর্কে সঙ্কটাপন্ন বিজেপিতে খুশির হাওয়া!
হয়তো জেলেনস্কি ভাবছেন এইভাবে ঠেকনা দিয়ে রাখা গেলে একসময় রুশ বাহিনী হতোদ্যম হয়ে পড়ে যুদ্ধ থামিয়ে দেবে। এক্ষেত্রে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি যে দেশের জনসাধারণের প্রাণহানির বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় আনছেন না তা একরকম স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা যদি ইউক্রেনকে যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা বন্ধ করে তবেই একমাত্র এই যুদ্ধ থামতে পারে। কারণ মার্কিন সাহায্য বন্ধ হলে খুব বেশিদিন জেলেনস্কি হম্বিতম্বি করবেন বলে মনে হয় না। আশা করা যায় আমেরিকা পাশ থেকে সরে গেলে খুব দ্রুত আত্মসমর্পণ করবে ইউক্রেন। তাতে বন্ধ হবে রুশ আক্রমণ। স্বাভাবিকভাবেই প্রাণে বেঁচে যাবে ইউক্রেনের কয়েক কোটি মানুষ।