রাজ্যের কনটেন্টমেন্ট জোনগুলিতে বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের বর্ধিত কনটেইনমেন্ট জোনে লক-ডাউনের মেয়াদ আগামী রবিবার পর্যন্ত বাড়ালো রাজ্য সরকার।
স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সব জেলাশাসকের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে আজ কন্টেইনমেন্ট জোন গুলিতে কঠোরভাবে লক-ডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য গন্ডিবদ্ধ এলাকায় কঠোরভাবে লক-ডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আরও চার দিন তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা ও শহরতলির বৃহত্তর কনটেইনমেন্ট জোনে কড়া লক-ডাউন ও জলপাইগুড়ি, মালদা, কোচবিহার, রায়গঞ্জ, শিলিগুড়িতে আগামীকাল থেকে শহর ভিত্তিক লক-ডাউন শুরু করার জন্যও স্বরাষ্ট্র সচিব প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, শহরে কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ও বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কলকাতা পুরসভার সদ্য নিযুক্ত কোভিড বিষয়ক নোডাল অফিসার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আজ পুর প্রশাসক-বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম সহ বোর্ডের অন্যান্য সদস্য ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর নোডাল অফিসার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কিভাবে বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে গোটা ব্যবস্থাকে আরও সুসংহত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে শহরবাসীকে প্রয়োজনীয় পরিষেবা ও তথ্য প্রদান এবং অন্যান্য সহায়তায় কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমকে আরও ভালোভাবে কিভাবে ব্যবহার করা যায় সে নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
শহরের কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে লক-ডাউন বলবৎ করার বিষয়ে পুরসভা যথেষ্ট কড়া ও এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তাঁরা ভালোভাবে কাজ করছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সংক্রমণ রোধে শহরে সেফ হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হবে। স্যাটেলাইট কেন্দ্র বা পেড সেফ হোম ও কোভিড হাসপাতালগুলির সঙ্গে কিভাবে সংযোগ ও সমন্বয় বাড়ানো যায় সে বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড শয্যা সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য দান, এই সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর একটি পোর্টাল তৈরির চিন্তাভাবনা করছে বলেও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।