বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণায় ধীরে চল নীতি মমতার
দ্য কোয়ারি ওয়েবেডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের পর আরও একবার রাজ্য জুড়ে বেজে গিয়েছে নির্বাচনের দামামা। মাঝে পুরসভা ভোট হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। দুই বছর পরে এবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণায় বড় বদল করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পিছনে রয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা।
সাধারণত নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের পরেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। খোদ নেত্রী সেই তালিকা সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিয়ে আসেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরে গোল বেঁধেছিল। ব্যারাকপুর কেন্দ্রে দীনেশ ত্রিবেদীকে প্রার্থী করার পরে দল ছেড়ে চলে যান তৃণমূলের দুর্দিনের সৈনিক অর্জুন সিং। পরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনিই ব্যারাকপুরের সাংসদ নির্বাচিত হন।
লোকসভায় ছিল ৪২ আসন। বিধানসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা ২৯৪। অনেক কেন্দ্রেই প্রার্থীপদ নিয়ে কোন্দল রয়েছে। একাধিক ব্যক্তি নিজেদেরকে প্রার্থীপদের দাবিদার বলতে শুরু করেছে। প্রার্থী হতে না পারলে দল ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। গত কয়েক মাসে অনেক নেতানেত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক-সাংসদ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
নির্বাচনের আগে একাধিক প্রতিশ্রুতি অমিত শাহের
এই দলবদলে কোনও ক্ষতি হবে না বলে দাবি করলেও বিষয়টি যে সহজ নয় তা বেশ ভালোই বুঝতে পড়েছেন নেত্রী মমতা। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে ফের তেমন কিছু ঘটলে পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল হতে পারে তাও বিলক্ষণ জানেন তিনি। সেই কারণেই প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে বদল করতে চলেছেন তিনি। সূত্রের খবর, একুশের নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে ধীরে চলার নীতি নিয়েছে তৃণমূল।
জানা গিয়েছে যে কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটের দিন ঘোষণা করা হলেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেবে না তৃণমূল। অন্য দল প্রার্থী ঘোষণা করার পরে নিজেদের প্রার্থী তালিকা জানাবে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল। একই সঙ্গে সকল কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা নাও প্রকাশিত হতে পারে। ধীরে ধীরে কয়েক ধাপে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হতে পারে তৃণমূলের। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘাস ফুল শিবির।