দিলীপের মুখে বদলার রাজনীতি, ফিরহাদ চান সম্প্রীতি

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির পাখির চোখ বাংলা। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ময়দানে কেন্দ্রের শাসক দল।

ডিজিট্যাল প্লাটফর্মে তার প্রস্তুতি তো চলছেই।একইসঙ্গে চলছে জোর প্রচার।২০১১-র বিধানসভা ভোটে বাংলায় পরিবর্তনের পর, তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই বিখ্যাত স্লোগান ‘বদলা নয়, বদল চাই’ সে সময় বাংলায় সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী স্লোগান হয়ে সামনে এসেছিল।

এরই অনুকরনে এবার বিজেপিও একটি স্লোগানকে তাদের অস্ত্র করছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সোশ্যাল সাইটগুলিতে দেখা গিয়েছে সেই স্লোগান, ‘বদলও হবে, বদলাও হবে।’

বিজেপির এই প্রতিশোধের রাজনীতিই বাংলার মানুষের প্রশ্নের মুখে। আগামী দিনে যাঁরা বাংলার মসনদে বসার স্বপ্ন দেখেছে, এই বক্তব্য তাঁদের কাজে হিংসাকে উসকে দেবে।

এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের কথায়, যাঁরা বিজেপিকে আক্রমণ করছে তাঁদের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়া হবে।

দিলীপ ঘোষ বলেন, যাঁরা হিংসা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা বদলা নেব। যে পুলিশ অফিসাররা আমাদের আটকানোর চেষ্টা করছে, আমাদের হ্যারাস করছে তাঁদের বিরুদ্ধেও বদলা নেওয়া হবে।

বদলা নয় বদল চাই বলে যাঁরা ক্ষমতায় এসেছিল, তাঁরা বাংলার নাম বদলে দিয়েছে।ওই বদল অমরা করব না। আমরা ক্ষমতায় যাঁরা আছে তাদের বদল করব।

একইসঙ্গে বাংলার মানুষের ওপর যাঁরা অত্যাচার চালাচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে বদলাও নেওয়া হবে। আমরা কোনওভাবেই চুপ করে থাকব না। যখনই সুযোগ পাব, বদলা আমরা নেবই।

এদিন এর জবাব দিয়েছেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা কলকাতার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।

তাঁর কথায়, যেন তেন প্রকারে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া বিজেপি। তাই বিজেপির অস্ত্র হিংসা ও বিভাজন। ওরা প্রতিশোধের কথা বললেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল হিংসায় বিশ্বাস করে না। তিনি পালাবাদলের পরও তাঁর দলকে এই বলে সংযত করেছিলেন, বদলা নয়, বদল চাই। ক্ষমতায় এসে প্রতি ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা বাংলাকে সামনে সারিতে এগিয়ে এনে বাংলার চেহারা বদলে দিয়েছেন। বিজেপি তাঁকে আবার সেই কালো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

তিনি আরও বলেন, বিজেপি নেতারা কেউ ভালো ভাবতে পারে না। তাঁরা বাংলাকে গুজরাত করতে চায়, তাই বার বার হিংসা ও হত্যার কথা বলেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেস হত্যার পথে নয়। তৃণমূল কখনোই সন্ত্রাসকে সমর্থন করে না। তৃণমূল শান্তির পক্ষে, গড়ার পক্ষে। বাংলার সব মানুষকে নিয়ে চলার পক্ষে। তৃণমূল হিন্দু ও মুসলমানের সম্প্রীতির কথা বলে। তৃণমূল বাংলার মানুষের ভালো থাকার কথা বলে।

সম্পর্কিত পোস্ট