সর্বদলীয় বৈঠকে ভ্যাকসিন নিয়ে বড় ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাড়ছে সংক্রমণ। একের পর এক রাজ্য নাইট কার্ফুর পথে হাঁটছে। শুধু তাই নয়। নতুন করে লকডাউন কিংবা করোনার বিধি নিষেধ কার্যকর করছে বেশ কয়েকটি রাজ্য।
এরাজ্যেও লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে লাগাতার কয়েকমাস ধরে বেশীরভাগ সময়ই করোনা আক্রান্তের সংখ্যার শীর্ষে থেকেছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণা। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, নতুন কনটেন্টমেন্ট জোনের তালিকায় নাম এসেছে বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ ও ভ্যালি পার্ক এলাকা।
এই অবস্থায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্রের খবর, সংসদের দুই কক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফ্লোর লিডারদের এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় এই বৈঠক হবে। সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রীর তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সংসদীয় দলনেতাদের কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছে গিয়েছে।
গত মার্চ মাস থেকে ভারতে করোনার সংক্রমণ চলছে। দীর্ঘ কয়েকমাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে সরকার। মোদী ছাড়াও রাজনাথ, অমিত শাহ, হর্ষবর্ধন, প্রহ্লাদ যোশী সহ সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মোদীর ডাকা সর্বদল এই বৈঠক ঘিরে নতুন করে জল্পনার তৈরি হয়েছে। তবে কি ফের লকডাউনের মতো কোনও বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে দেশ?
তামিলনাড়ু সরকার ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনা নিয়ে নিয়মবিধির মেয়াদ বাড়িয়েছে। করোনার থাবায় জর্জরিত মহারাষ্ট্র। এই অবস্থার কথা মাথায় রেখে এবার রাজ্যে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার।
মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এই পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। রাজ্যে ফের নিয়মে কড়াকড়ি হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছিল। তিনি বলেছিলেন দিওয়ালির সময় প্রচুর মানুষ নিয়ম মানেননি। গণেশ চতুর্থীর পরেও পরিস্থিতি খারাপ ছিল। এখন ক্রমশ সংক্রমণ বাড়ছে। তাতে লাগাম পড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।
শুধু তাই নয়, একাধিক রাজ্য নতুন করে নাইট কার্ফু চালু করেছে। আর সেই কারণেই এই জল্পনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
অন্যদিকে শুধু লকডাউনই নয়, সর্বদল বৈঠকের পরেই ভ্যাকসিন নিয়েও কি বড় ঘোষণা করতে পারেন মোদী? সেই জল্পনাও রয়েছে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/selling-expired-drugs-to-a-pregnant-woman-accused-pal-medical-hall-in-barasat/
উল্লেখ্য, জেনোভা বায়ো ফার্মাসিউটিক্য়াল লিমিটেড, বায়োলোজিক্যাল ই লিমিটেড, ডঃ রেড্ডিস ল্যাবরেটরিজের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংশ্লিষ্ট সংস্থায় যাঁরা ভ্যাকসিন তৈরির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন মোদী।
এরপরেই ৩ সংস্থাকে ভ্যাকসিন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সহজ ভাষায় বোঝানোর নির্দেশ দিয়েছেন মোদী যাতে ভ্যাকসিনের গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা এবং ভ্যাকসিন নিয়ে সংশ্লিষ্ট তিন সংস্থার প্রস্তাব, মতামত চেয়েছেন মোদী।
অন্যদিকে, এই বৈঠকের পরেই সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালার শনিবার জানিয়েছেন, শীঘ্রই তাঁরা জরুরিভিত্তিতে ভ্যাক্সিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার আবেদন জানাবেন।
সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই আবেদন জানাবেন বলে উল্লেখ করেন পুনাওয়ালা। এরপরেই মোদীর সর্বদল বৈঠকের ডাক। ফলে ভ্যাকসিন নিয়েও বড় ঘোষণা হতে পারে বলে জল্পনা।