লকডাউনের মধ্যেও গুরুত্ব দিতে হবে অর্থনীতিকে বললেন প্রধানমন্ত্রী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার সঙ্গে যুদ্ধের পাশাপাশি অর্থনীতিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য প্রযুক্তির যতটা বেশি সম্ভব ব্যবহার জরুরি। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই পরামর্শ দিলেন।

রাজ্যের রেড জোনগুলিকে অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়ে আসার ওপরেও জোর দিয়েছেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, লকডাউনে সুফল মিলেছে। হাজার হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি আমরা। কিন্তু আগামী মাসগুলিতেও করোনার প্রভাব বোঝা যাবে। জীবনের অংশ হয়ে যাবে মাস্ক আর ফেস কভার। আর মন্ত্র, শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করুন।

বৈঠকে লকডাউন আরও বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত। সাওয়ন্ত বলেন, শুধু তিনি নন, আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই দাবি রেখেছেন। তবে রাজ্যে আর্থিক কাজকর্ম কিছুটা শুরু করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।

একই কথা বলেন পুঁদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। বলেন, ৩ মে-র পরেও লকডাউন বাড়ানো হোক। পাশাপাশি একটু একটু করে চালু হোক কলকারখানা, দোকানপাট। করোনা যাতে ছড়াতে না পারে, সে ব্যাপারে ঠিকমতো সতর্কতা নিয়েই জীবন ফিরে আসুক পুরনো ছন্দে।

মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাও জানান, ৩ মে-র পরেও তিনি রাজ্যে লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী।

২১ মে পর্যন্ত লক ডাউনের পক্ষে রাজ্য, “আজ ও কাল আমরা অপেক্ষা করব, পরশু আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো” : মুখ্যমন্ত্রী

সোমবার সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স মারফত কথা বলেন মোদি। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। জানা গিয়েছে, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সকলকে বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্যের মিলিত পদক্ষেপের সুফল পাওয়া যাচ্ছে।

আর কী কী আলোচনা হল বৈঠকে:

প্রধানমন্ত্রী বললেন, করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের সুফল পেতে শুরু করেছে দেশ। মোদি বললেন, অতিমারীর সামনে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভাল।

আগামী কয়েক মাসেও কোভিড ১৯ এর প্রভাব থাকবে। তাই মাস্ক পরা ও একে অপরের সঙ্গে দু গজ দূরত্ব বজায় রাখাই হবে মূলমন্ত্র।

প্রধানমন্ত্রী সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বললেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চলাকালীনই লক্ষ্য রাখতে হবে অর্থনীতিকে কীভাবে চাঙ্গা করা যায়।

সূত্রের খবর, লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর চেয়েও অর্থনীতি কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, সেটা নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রত্যেক রাজ্যকে তাদের রেড জোনগুলিকে ধাপে ধাপে প্রথমে অরেঞ্জ ও পরে গ্রিন জোনে রূপান্তরিত করতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা সমস্যা এখনই পুরোপুরি নির্মূল নাও হতে পারে। তাই পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে। লকডাউন তোলা বা বাড়ানো নিয়ে কোনও ইঙ্গিত বৈঠকে পাওয়া যায়নি বলেই সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত পোস্ট