গাছে কাঁঠাল, গোঁফে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সী! বিরোধী শিবিরে উচ্চাভিলাসী বহু

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিরোধীরাই নরেন্দ্র মোদির প্রধান শক্তি! ঠিক‌ই পড়েছেন। বিজেপিকে হারানোর আগেই যারা প্রধানমন্ত্রীর কুর্সীতে বসা নিয়ে টানাটানি করে, তাদের অবস্থা গাছে কাঁঠাল, গোঁফে তেলের মতোই। কারোর সঙ্গে কারোর মিল নেই, তবু তারা নাকি প্রধানমন্ত্রী হবে!

মাঝারি আকারের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রভাব ওই রাজ্যেই সীমাবদ্ধ। সেই নেতাও মনে করছেন দলের নাম পাল্টালেই তিনি সর্বভারতীয় নেতা হয়ে উঠবেন, আর ওমনি পুটুস করে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন! হ্যাঁ, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কথাই বলছি আমরা।

মাঝারি আকারের রাজ্য তেলেঙ্গানাতেই বিজেপি, কংগ্রেস ও মিমের জন্য যথেষ্ঠ চাপে আছে কেসিআরের দল। এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশে তাঁর তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সামান্য অস্তিত্ব আছে। যদিও সেই অস্তিত্ব তাঁর দলকে ভোটে জেতাতে পারে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হ‌ওয়ার বাসনায় বুধবার দলের নাম পাল্টে ‘ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি’ করে দিলেন কেসিআর!

মমতার পুজোর চেক বাউন্স! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শুভেন্দুর

আচ্ছা, প্রধানমন্ত্রী পদে কেসিআরকে কারা মানবে? আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই তো প্রধানমন্ত্রী হতে চান। তাঁর দলের হাতেও তেমন একটা সাংসদ নেই। আপ ক্ষমতায় থাকা দুই রাজ্য দিল্লি ও পাঞ্জাব মিলিয়ে লোকসভার আসন সংখ্যা ভোটে ১৯! এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হ‌ওয়া সম্ভব?

তবে কেজরিওয়ালের পক্ষে একটা বিষয় যাচ্ছে, তা হল তাঁর দলে ক্রম সম্প্রসারণশীল অবস্থা। গুজরাট, হরিয়ানা, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যে আপের অল্পবিস্তর অস্তিত্ব আছে। তবে সেই অস্তিত্ব আপ প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী করে দিতে পারে এমনটা কিন্তু নয়।

এদিক থেকে ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেস অনেক ভালো জায়গায় আছে। দেশের সব রাজ্যে আজ‌ও তারা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। তাছাড়া সরকার গড়ার প্রশ্নে তারা প্রশ্নাতীত সমর্থন পাবে বাম দলগুলির। এছাড়াও লালুর আরজেডি, স্ট্যালিনের ডিএমকে, শরদ পাওয়ারের এনসিপি এই দলগুলোও বিনা প্রশ্নে কংগ্রেসকে সমর্থন করবে। ফলে বিরোধীরা ২৪ এর নির্বাচনে বিজেপিকে যদি পরাস্ত করতে পারে, তবে কংগ্রেস থেকেই কারোর প্রধানমন্ত্রী হ‌ওয়ার সম্ভাবনা ষোলোআনা।

সমস্যা হল কেসিআর, কেজরিওয়াল, নীতীশ কুমার, মায়াবতীর মতো উচ্চাকাঙ্খীদের জন্য বিরোধী ভোট যত ভাগ হবে ততই সুবিধে বিজেপির। এই বাংলার শাসকদল তৃণমূল ষ‌ও কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী চেয়ে সোচ্চার হয়েছিল। পরিস্থিতির ফেরে এখন সেই দাবি অবশ্য কিছুটা স্তিমিত। ফের এই দাবি ওঠে কিনা সেটাই এখন দেখার।

সম্পর্কিত পোস্ট