করোনার টিকাকরণ শেষ হলেই CAA কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হবে- ঠাকুরনগরে প্রত্যয়ী শাহ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ঠাকুরবাড়ি বারবার আসব। মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুন। সেবার আসতে পারিনি। দিল্লিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল। বিজেপিকে আটকানো সহজ নয়। কোচবিহারের চড়া মেজাজেই ঠাকুরনগরে এসে CAA-এর নিয়ে সওয়াল করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মতুয়াদের সভা থেকে এদিন সরাসরি নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের পবিত্র স্থানে এসে আমরা মমতার মত মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে পারি না। CAA -র আইনে পরিস্কার বলা আছে, এদেশে মুসলমান এবং শরণার্থীদের একজনেরও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।
তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে রাজনীতি করছেন। আপনাদের ভিড় প্রমান করে দিচ্ছে এরাজ্যে বিজেপি আসবে।
অমিত শাহের কথায় রাজ্য জুড়ে হিংসার পরিস্থিতি চলছে। গণতন্ত্র বলে কিছুই নেই। তিনি উদাহরণ স্বরুপ বলেন, “আপনাদের প্রত্যেকের মনে আছে মরিচঝাঁপির কান্ড। সেটা ঘটেছিল বামেদের আমলে। সেই হিংসার ধারা এখনও অব্যাহত।
তিনি বলেন, “আমরা জানি, এই বাংলার মাটি শ্রী শ্রী ঠাকুর পরমহংস দেব, বিদ্যাসাগর, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর। তাই পবিত্রভূমিতে দাঁড়িয়ে মিথ্যা কথা বলা যায় না। আপনারা নাগরিকত্ব পাবেন। সম্মান পাবেন। একথা প্রধানমন্ত্রী এসে বলে গেছেন। আমিও সেই কথাই বললাম। ৭০ বছর ধরে আপনাদের স্বীকৃতি মেলেনি। তাই কথা দিয়ে যাচ্ছি, করোনার টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হলেই নাগরিকত্ব দেবে সরকার।”
এদিন ঠাকুরনগরে রেলস্টেশন পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন তিনি। বলেন, এই স্টেশনের নাম হবে শ্রীধাম ঠাকুরনগর।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক উত্তাপের প্রবাহ বাড়ছে। একদিকে কোচবিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজবংশীদের কাছে টানার প্রয়াস। অন্যদিকে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে দাঁড়িয়ে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। সবটাই যেন ভোটকেন্দ্রিক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
একদিনের ঝটিকা সফরে এসে ঝোড়ো ইনিংস খেললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কোচবিহার থেকে ঠাকুরনগর সর্বত্রই ছিল মমতা বিরোধী কথাবার্তা। তবে কৌশলী অমিত শাহ মতুয়াদের মন জয় করে সোজা সায়েন্স সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে বৈঠক সেরে বিশেষ বিমানে দিল্লি ফিরে যাবেন।
তবে যাওয়ার আগে কথা দিয়ে গেলেন তিনি আবার আসবেন বাংলায়। কারণ সামনেই ভোট। বাংলারর মানুষের উন্নয়নে দরকার ডবল ইঞ্জিন সরকার। নির্বাচনে পাশা উল্টে দেওয়ার হুঙ্কারে ফের চাঙা করে দিয়ে গেলেন কর্মীদের।