ইসকন মন্দিরেই পালন হল রথযাত্রার, পূজার সামগ্রী পাঠালেন মমতা
দ্য কোয়ারি ওয়োবডেস্কঃ প্রতি বছরের জাঁকজমক নেই।শুধু আছে শ্রদ্ধালু জনতার অপার ভালোবাসা। তাই মঙ্গলবার কলকাতার রাস্তায় রথ না নামলেও লাইভ স্ট্রিমিংয়ে ইসকনের রথের দিকে চোখ রাখল রাজ্যবাসী।
পুরীর মতো জনাগম না হলেও রথের দিন পার্ক সার্কাস থেকে মাসি বাড়ি (ময়দানের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ইসকনের রথ। প্রতিবছর এই রথযাত্রা উপকলক্ষে কলকাতায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়।
উল্টোরথ পর্যন্ত ময়দানে মেলা চলে রথের । এরপর আবার উল্টোরথে মন্দিরে ফেরেন জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রা। করোনা আবহে এবার কিন্তু তা হল না।
করোনা আবহে মন্দিরের চত্ত্বরেই পূজা ও অর্চনার আয়োজন করা হয়।মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন বস্ত্র ও ভোগ পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা বিগ্রোহকে নিবেদন করা হয়েছে।
গত বছর কলকাতা ইসকনের রথ যাত্রায় ৪লক্ষ মানুষ দড়ি টেনে ছিলেন। দড়িতে প্রথম টান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। এই বছর করোনা আবহে রথযাত্রা না হলেও সকালেই ইসকন মন্দিরে পূজা সামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ
ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। ৮ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজে মন্দিরে এসে দর্শন করবেন বলেও ফোনে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষকে। রথযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবছর মন্দিরের সামনে তিনটি ছোট রথে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা কে ঘোরানো হয়।
ময়দানের বদলে মন্দিরের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এবছর মাসির বাড়ি আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই রাখা হয়েছে বিগ্রহ মূর্তিকে।
কলকাতা ইসকনে অন্যবারের থেকে এবারের ছবিটা অনেকটাই আলাদা। কলকাতার রাজপথে রথ না বের হলেও নিষ্ঠা ও নিয়মে কোন খামতি নেই।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনে রথযাত্রা পালন করছে ইসকন। নির্ঘণ্ট মেনে নিষ্ঠা সহকারে
পুজো হয়েছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আগেই ইসকনের তরফে জানানো হয়েছিল, এই বছর ডিজিটাল রথযাত্রা করা হবে। সেইমতো ইসকন মায়াপুর ও কলকাতা সর্বত্রই সম্পূর্ণ নিয়মবিধি মেনে রথযাত্রা পালিত হচ্ছে।
তার পুরোটাই লাইভ স্ট্রিমিং হয়েছে। মন্দিরে পুজো-অর্চনা, ভোগ নিবেদন সবই হচ্ছে। মন্দির চত্বরের মধ্যেই যাবতীয় আয়োজন করা হয়েছে। তবে ভক্ত সমাগম সরকারি নিয়ম মেনে এবার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।