হাসাপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা প্রশংসনীয়, মত রাজনৈতিক মহলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন। তার আগেই হাসপাতাল পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ জোর দিচ্ছে রাজ্য। সেক্ষেত্রে, মুখ্যমন্ত্রীর নজরদারির এই বিষয়টি যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন থেকে মাসে দুবার পর্যালোচনা বৈঠকে বসবেন। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের অবস্থা তিনি নিয়মিত পর্যালোচনা করবেন বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন।
১৫ দিন অন্তর এসএসকেএমে এসে স্বাস্থ্য সচিব এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ের উপর খবরাখবর নেবেন। আচমকাই এসএসকেএম হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে জানিয়েছেন মমতা।
সেখানে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগমের উপস্থিতিতে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন। এরপরে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য। তাই নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠকের সিদ্ধান্ত।
আদিবাসী উন্নয়নে গতি বাড়াতে বৈঠকে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাইবস অ্যাডভাইজারি কাউন্সিল’
কলকাতায় পাঁচটি বড় বড় হাসপাতাল রয়েছে তাই এখান থেকেই ওই পর্যালোচনায় কাজ চলবে। উত্তরবঙ্গ এবং কলকাতায় একটি করে ক্যান্সার হসপিটাল তৈরি করার কথা তিনি ঘোষণা করেছেন।
পাশাপাশি রাজ্য সরকার এখন থেকে পরিবারের একজনকেই কোভিড বীমার সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার থেকে একই পরিবারের একাধিক ব্যাক্তি করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেলে কেবলমাত্র একজনই তার ক্ষতিপূরন পাবেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য গত বছরের মার্চ মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের জন্যে এই বীমা ঘোষনা করার পরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিপূরন চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। তার প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।