পেঁয়াজের যোগান বাড়াতে খারিফ মরশুমে ৯ জেলার ১৮০০ একর জমিতে পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে পেঁয়াজের যোগান বাড়াতে রাজ্য সরকার খারিফ মরশুমে রাজ্যের মোট ৯ জেলার ১৮০০ একর জমিতে পেঁয়াজ চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভর করে তোলার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে খবর।
রাজ্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য বর্তমানে ১৩ লক্ষ টন পেঁয়াজ প্রয়োজন হয়।২০১৯-২০ আর্থিক বছরে এ রাজ্যে ৬.৭০ লক্ষ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। তবে খারিফ মরশুমে এরাজ্যে পেঁয়াজ চাষের চল না থাকায় তার যোগানের জন্য ভিন রাজ্যের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হতো।
পরীক্ষামূলকভাবে বাঁকুড়া তালডাংরায় খরিপ মরশুমে বিশেষ প্রজাতির পিয়াজ চাষ করে সাফল্য মেলায় এবার বিভিন্ন জেলায় এই মরশুমে চাষ শুরু করা হচ্ছে।যেখান থেকে প্রায় ৪৫ হাজার মেট্রিকটন ফসল লাভের আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পেঁয়াজের যোগানে রাজ্য অনেকটাই স্বনির্ভর হয়ে উঠবে বলে রাজ্যের উদ্যানপালন দপ্তর আশা করছে।
গ্রামাঞ্চলে টিকা ঘাটতি মেটাতে উদ্যোগী রাজ্য
উল্লেখ্য, নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টিতে জলমগ্ন বাঁকুড়ার ইন্দাস, পাত্রসায়ের ও কোতলপুরের মতো একাধিক এলাকা। বিঘের পর বিঘে জমি জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন চাষিরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে চাষিদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে জেলা কৃষি দফতর।
চলতি বছর নির্দিষ্ট সময়ের কিছু আগেই বর্ষার আগমন হয়েছে। সেইকারণেই বাঁকুড়ার অন্যতম কৃষি প্রধান ওই ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় আমন রোপণের কাজ শুরু হয়েছিল আগেভাগেই। কৃষি দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি ওই এলাকার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কৃষিজমিতে আমন রোপণের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে দুদিনের মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির জেরে বেকায়দায় পড়তে হয় চাষিদের।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন গড়ে ১০০ মিলিমিটার থেকে ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বাঁকুড়ার ইন্দাস থেকে পাত্রসায়েরের মতো ব্লকগুলিতে। অতি অল্প সময়ে এই ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে রীতিমতো জলমগ্ন হয়ে পড়ে কৃষিজমিগুলি। জেলা কৃষি দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইন্দাস ব্লকেই প্রায় ১০০০ হেক্টরের বেশি আমন ধানে রোপন করেছিল চাষিরা।
কিন্তু ধানের জমি জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ চাষিদের। তবে খুশির খবর, জমা জল ইতিমধ্যেই দ্রুত হারে সেই নামতে শুরু করেছে। কোতুলপুর ব্লকে তেমন ভাবে কৃষিজমি জলমগ্ন হয়ে থাকার কোনও খবর নেই বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের সমস্তরকম আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি দফতর।