Chief Secretary আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে Chief Advisor হিসাবে নিযুক্ত করল রাজ্য
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে আজ চিফ অ্যাডভাইজার হিসাবে নিযুক্ত করল রাজ্য। আগামীকাল থেকেই কাজ করবেন তিনি। সোমবারই মুখ্যসচিবের পদ থেকে ইস্তফা দেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রের চিঠির জবাবে সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে ফেটে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “গত ৭৪ বছরে ভারতে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।”
তিনি জানান, আমার চিঠির কোনও উত্তর দেয়নি। মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে। আমরা এতে কিছু মনে করি না। আমরা লড়াই জারি রাখব। আমাদের সরকার মানুষের সরকার। এইচ কে দিবেদী নতুন৷ মুখ্যসচিব। স্বরাষ্ট্রসচিব থাকবেন বিপি গোপালিকা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। কী কারণে মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রে যোগ দিতে বলা হচ্ছ , চিঠিতে সেই কথাও উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিশোধমূলক আচরণ। এত নির্দয়, এত নির্মম প্রধানমন্ত্রী আমি আগে কখনও দেখিনি।”
সাংবাদিক বৈঠক করে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন কিছুক্ষণ আগেই আমাদের কাছে চিঠি আসে কেন্দ্রের তরফে। ক্যাডার আইন উল্লেখ করে সেখানে বলা হয় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে নর্থ ব্লকে যোগ দিতেই হবে। তবে এই চিঠিতে কোথাও লেখা নেই কি কারণে তার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
তিনি জানান,প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আগে আমাকে বলা হয়নি যে তার সঙ্গে দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের জন্য শুধু দেখা করার কথা বলা হয়েছিল সেই মত আমি এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব দেখাও করি। কেন্দ্রীয় সরকার একতরফাভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি?
রাজ্যের বাইরে যেতে পারে নারদকাণ্ড?
কেন্দ্রের প্রতি তোপ দেগে মমতা বলেন, সারা দেশে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। একইসঙ্গে তিনি জানান দেশের প্রথম সারির একজন আমলার সঙ্গে এই রকম আচরণ করা যায় কি? আসলে অর্ডার রাজ্য সরকারকে বুলডোজ করতে চাইছে।
কেন্দ্রকে এদিন আইন মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন রাজ্যের টপমোস্ট আমলাকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া ডেকে নেওয়া যায় না। আমলারা আপনাদের ক্রীতদাস নয়। এই লড়াইটা শুধু আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের একার নয়।সারাদেশের সব আমলার লড়াই।
প্রসঙ্গত আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের তরজা আরো চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন সিদ্ধান্তের পর কেন্দ্রের তরফে পাল্টা কোন জবাব দেওয়া হয়।