কোভিড যোদ্ধাদের বীমার সময়সীমা নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চিকিত্সক, নার্স, সাংবাদিক, সাফাই কর্মী, পুলিশের মত প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা হিসেবে যারা কাজ করছেন রাজ্য সরকার তাদের বীমার সময়সীমা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে বলেন, এই ধরনের কোনও যোদ্ধার করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হলে চলতি সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত তার পরিবার এই বীমার আওতায় ক্ষতিপূরণ পাবেন।
উল্লেখ্য, কোভিড যোদ্ধা হিসেবে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হলে তার পরিবারকে এককালীন দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকার গত ৩ মে ঘোষণা করে। পরবর্তী সময়ে মৃতের পরিবারের একজনের চাকরি দেওয়ার কথাও সরকারি ভাবে জানানো হয়।
একই সঙ্গে এদিন আনলক পর্বে রাজ্যের যে সব কল কারখানা খুলেছে, সেখানে বিধি মেনে কাজ হচ্ছে কিনা তা দেখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই সব কল কারখানায় শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হচ্ছে কিনা, কোভিড সুরক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কিনা তা জানতে শ্রম দপ্তরকে তিনি আচমকা অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। নবান্নে আজ পাঁচ জেলার প্রশাসmamataনিক বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন।
সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারি প্রবেশিকা নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা অভিযোগ করেন, কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলিতে অনেক কারখানাতেই কর্মীদের পারস্পরিক দূরত্ব না মেনেই কাজ করানো হচ্ছে। যার ফলে ওই কারখানাগুলিই করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর কেন্দ্র হয়ে উঠছে।
ফলে এই ধরনের কারখানাগুলিতে আচমকা হানা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এর পরই শ্রম দফতরের অফিসারদের রাজ্যের কল কারখানাগুলিতে আচমকা হানা দেওয়ার জন্য শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
যে সংস্থা বা কারখানাগুলি খোলা রয়েছে, সেখানে বেতন বা পারিশ্রমিক ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে কিনা, সেই খোঁজখবর নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। চা বাগান এবং চটকলগুলির উপরে বিশেষ নজর দিতে বলেন।
শ্রম দফতরের অধীনে কতজন অফিসার আছেন, শ্রমমন্ত্রীর কাছ থেকে সে ব্যাপারেও তিনি জানতে চান। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যথাযথ কাগজপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বেও সরকারি কোনো অনুমতির জন্য কোনও কারখানা যাতে বন্ধ না হয়ে থাকে তা নিশ্চিত করা হয়।