মৃত্যু হার কমানোর লক্ষ্যে কভিড হাসপাতালগুলিতে ক্রিটিক্যাল কেয়ারে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা রোগীদের সুস্থতার হার যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক হলেও মৃত্যুহার নিয়ে চিন্তিত নবান্ন। আর সে কারণেই কিভাবে এই মৃত্যু হার কমানো যায় তা নিয়ে উদ্যোগী হল স্বাস্থ্য ভবন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের সরকারি কভিড হাসপাতালগুলিতে মৃত্যু হার কমাতে ক্রিটিক্যাল কেয়ার পরিকাঠামো আরও উন্নত করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে নবান্ন। মূলত মৃত্যুহার যাতে এক শতাংশের নিচে নামেনি আনা যায় সে কারণেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
যদিও এই মুহূর্তে বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার দুই শতাংশের নিচে। যা দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশ ভালো। কিন্তু এতেও খুশি নয় স্বাস্থ্য দফতর। তারা চাইছে পরিকাঠামো উন্নয়ন ঘটিয়ে এই মৃত্যুহার এক শতাংশের নিচে নিয়ে আসতে।
সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকার চাইছে সরকারি কভিড হাসপাতালগুলিতে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেডের সংখ্যা পঞ্চাশটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই মুহূর্তে করোনা রোগীরা যাতে সরকারি হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পায় তাই ক্রিটিক্যাল কেয়ারের পরিকাঠামো আরও উন্নত করার চেষ্টা করছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা স্বাস্থ্য দফতর।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের পেছনে আরও একটা কারণও রয়েছে। মূলত এই মুহূর্তে মৃদু উপসর্গ থাকা করোনা রোগীরা হোম আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছে। এক্ষেত্রে যাদের অবস্থা অপেক্ষাকৃত সংকটজনক তারাই হাসপাতলে আসছে।
আর সে কারণেই মূলত করোনা চিকিৎসা পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকেরা মনে করছেন, রাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলোতে ক্রিটিক্যাল কেয়ারের পরিকাঠামো আরও উন্নত হলে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই নেমে আসবে।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/fire-department-conducts-fire-protection-after-fire-audit/
রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে এই মুহূর্তে রাজ্যে আইসিইউ বেডের সংখ্যা ১২৪৩। অন্যদিকে কোভিড বেডের সংখ্যা ১২৬৭৫ টি। এরমধ্যে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট রয়েছে ৭৯০ টি বেডে।
রাজ্যের কিছু রাজনৈতিক দল যদিওবা মনে করছে এই মুহূর্তে রাজ্য থেকে করোনা প্রকোপ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে রাজ্য সরকার এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়। আর সে কারণেই এই অবস্থায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও উন্নত করার ওপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর।
বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ক্রিটিক্যাল কেয়ারের পরিকাঠামো বৃদ্ধি হলে তার লাভ রাজ্যের সাধারণ মানুষ পাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞেরা।
বিশেষ করে তাদের কথায়, শহর কলকাতায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার পরিকাঠামো থাকলেও গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে বহু ক্ষেত্রেই পরিকাঠামো এতদিন পর্যন্ত ছিল না।
করোনা কালে সরকারের তরফ থেকে পরিকাঠামো উন্নয়নে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবার ক্রিটিক্যাল কেয়ার পরিকাঠামো বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে জেলার মানুষ।
উল্লেখ্য এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা হাসপাতালের সংখ্যা ৯২ টি। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতাল ৩৭ টি। করোনার সময় বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করেছে ৫৫ টি।