শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন হাওড়ায় ঢুকতে দিতে নারাজ রাজ্য
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এমনিতেই হাওড়া করোনার হট জোন। তারপর একের পর এক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ঢুকলে হাওড়ার পরিস্থিতি আরো সংকটজনক হতে পারে। এই আশঙ্কায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলি হাওড়ার বদলে অন্যত্র নিয়ে যেতে চায় রাজ্য সরকার। এরপর সেখান থেকে বাস মারফত তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে।
অত্যধিক করোনা সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেজন্য শুক্রবার রেলকে ফের চিঠি দিল রাজ্য সরকার। এই চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেন হাওড়ায় ঢুকতে দিতে চায় না রাজ্য। একইসঙ্গে চিঠিতে রেলকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের জন্য বিকল্প রুট জানাল রাজ্য সরকার।
ওই চিঠিতে রাজ্যের নির্দিষ্ট করে দেওয়া রুটেই যাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেন ঢোকে সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় আমফানের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
ইতিমধ্যেই এই জেলাগুলিতে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ চলছে। একইসঙ্গে এখানে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন এলে তাকে ম্যানেজ করা প্রশাসনের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। আর সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
চিন নির্ভরতার মাসুল, WHO-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন আমেরিকার
একটানা লকডাউনের জেরে দেশের একাধিক রাজ্যে আটকে পড়েন লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিক। পরিযায়ীদের নিজেদের রাজ্যে ফেরাতে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেলমন্ত্রক। তবে পরিযায়ীরা তাঁদের নিজেদের রাজ্যে ফিরতেই একের পর এক রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে।
বাংলাতেও পরিযায়ীরা ভিনরাজ্য থেকে ফিরতেই করোনার সংক্রমণ একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণেই রাজ্যের তরফে এবার জোরদার তৎপরতা শুরু হয়েছে।
রেলকে দেওয়া এক চিঠিতে রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ভারত ও মহারাষ্ট্র থেকে আসা ট্রেন খড়গপুর, ডানকুনি, বর্ধমান, রামপুরহাট, মালদহ হয়ে এন.জে.পি যাবে। উত্তর ভারত থেকে আসা ট্রেনও আসানসোল, দুর্গাপুর, রামপুরহাট হয়ে এন.জে.পির দিকে যাবে।
নবান্নের তরফে দেওয়া চিঠিতে সেকথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু দক্ষিণবঙ্গ আমফান প্রভাবিত, আর তাই উত্তরবঙ্গের জেলা প্রশাসনকে দিয়েই এই শ্রমিক স্পেশাল ভিড় ম্যানেজ করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য এদিনও নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রমিক স্পেশাল নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন গুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসা হচ্ছে তার সমালোচনা করেন তিনি।
তার অভিযোগ রেল মন্ত্রকের হাতে তো প্রচুর ট্রেন রয়েছে,ভুলে কেন সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা হচ্ছে না।শ্রমিক স্পেশাল এর বদলে একে করোনা স্পেশাল বলতে হবে।
এখানেই শেষ নয়,দিনকয়েক আগেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন রাজ্যে ঢোকা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই একের পর এক ট্রেন পাঠাচ্ছে রেল। তার অভিযোগ ছিল, রাজ্যকে বিপাকে ফেলতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে রেল।