কলকাতা পুরসভার মাথায় স্পেশাল অফিসার বসাতে পারে রাজ্য

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কলকাতা পুরসভা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। শীর্ষ আদালত সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা পুরসভার ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে সুপ্রিম কোর্টই পুরসভার শীর্ষে স্পেশাল অফিসার নিযুক্ত করবে।

এই পরিস্থিতি এড়াতে কলকাতা পুরসভায় স্পেশ্যাল অফিসার বসাতে চলেছে রাজ্য। একজন আইপিএস এবং একজন আইএএস-এর নাম বিবেচনায় আছে। দু-একদিনের মধ্যেই এই দু’জনের মধ্যে একজন কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব নিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।

এদিকে, সুপ্রিম কোর্ট পুরসভায় ভোট করানোর যে নির্দেশ দিয়েছে, তা নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরে মতভেদ দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও বিদায়ী ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ-সহ শাসকদলের বড় অংশ মহানগরে এখনই পুরভোট গ্রহণের পক্ষে।

কিন্তু ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ও শহরের প্রভাবশালী বিধায়কদের একাংশ বিধানসভা ভোটের আগে কলকাতায় পুরভোটের বিরুদ্ধে। ফিরহাদ-অতীনের যুক্তি, এখন ভোট হলে পুরসভার মোট ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে ১০০-র বেশি ওয়ার্ডে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। এই ফল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দলের পালে বাড়তি হাওয়া দেবে। এই ব্যাখ্যা তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকেও জানিয়েছেন বলে খবর।

ওদিকে কলকাতার একাধিক বিধায়ক এখনই পুরভোট চাইছেন না। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরেরও একই মত। এই অংশের বক্তব্য, ভোটে এবার হিংসার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা আছেন তেমন হলে বিধানসভা ভোটে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটবে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার এখনও পুরভোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/sc-east-bengal-lost-on-their-fifth-match/

অবশ্য শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ এড়াতে ১৭ ডিসেম্বরের আগেই কলকাতা পুরসভায় স্পেশাল অফিসার হিসেবে দক্ষ ও অনুগত অফিসারকে নিয়োগ করতে চাইছে।

প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ওই ১৭ ডিসেম্বর। ওইদিনই রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হবে, নির্দেশ মেনে প্রশাসন পুরসভা পরিচালনায় স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করেছে। পাশাপাশি রাজ্য পুরভোট নিয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়াও শুরু হয়েছে।

পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি, ভোটার তালিকা সংশোধনের চালু থাকা কর্মসূচি এবং স্পেশাল অফিসার নিয়োগের কথা সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হবে। একই কথা জানানো হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও।

সম্পর্কিত পোস্ট