স্বাস্থ্যের স্বার্থেই সেতুতে আর ট্রাম লাইন রাখতে চায় না রাজ্য
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন সেতুগুলির রক্ষণাবেক্ষণের ওপর বাড়তি জোর দিয়েছে সরকার।
ইতিমধ্যেই সেতুর স্বাস্থ্য আশানুরূপ নয় এই কারণ দেখিয়ে ভেঙে ফেলার শুরু হয়েছে উত্তর শহরতলির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেতু টালা ব্রিজও। এরপর শহরের সবগুলি সেতুর স্বাস্থ্য নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারছে না নগরোন্নয়ন দফতর ও কেএমডিএ।
বিদ্যাবতী সেতু ও বেলগাছিয়া সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম লাইন রয়েছে। এই সেতুগুলির ভগ্নস্বাস্থ্যের কারণ অবশ্যই এগুলি।
তাই সেতু বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছে যে সমস্ত সেতুর ওপর ট্রাম লাইন রয়েছে সেগুলিকে তুলে সেতুর ভার কমানো জরুরী। আর তাই এবার সেতুর ওপরে ট্রাম লাইনে ‘না’ কেএমডিএর।
সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে রিপোর্টে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কেএমডিএ’র নিয়ন্ত্রণে থাকা যে সমস্ত সেতু রয়েছে তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভার কমাতে হবে সেতুর। সেই কাজ করতে গিয়ে ট্রাম লাইন তুলে ফেলতে বলা হল।
এর আগে শিয়ালদহ সহ বিভিন্ন সেতু’র ওপর থেকে পিচের আস্তরণ কমানো হয়। এবার পাকাপাকি ভাবে ট্রাম লাইন সরাতে বলল বিশেষজ্ঞ কমিটি।
শুক্রবার রাজ্যের পুর ও নগরায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে যা যা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।”
আত্মনির্ভর ভারতঃ এশিয়ার বৃহত্তম সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কালীঘাট সেতু, শিয়ালদহ সেতু সহ আর জি কর হাসপাতালের সামনের সেতু থেকে তাই পুরোপুরি সরানো হচ্ছে ট্রাম লাইন।
অপরদিকে, শীঘ্রই শিয়ালদহ সেতুর সংষ্কারের কাজ শুরু হচ্ছে। কাজের সময় সেতুর নীচে থাকা হকারদের সরানোর ব্যপারে চিন্তা ভাবনা করছে কেএমডিএ।
সেতু পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে বহু জায়গায় দোকান থাকার জন্যে কোথাও কোনও ধরণের ফাটল থাকলে তা নজরে আসছে না। একাধিক জায়গায় সেতুর নীচে স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ হয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়েছে।
নগরায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ” সেতু সংষ্কারের সময় হকাররা আমাদের সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা কাজ শুরু করে দেব ওদের সরিয়েই।”
তিনি আরও বলেন,”ইতিমধ্যেই ১১টি উড়ালপুলের পরীক্ষার কাজ শেষ। বাকি রয়েছে ৫টি ব্রিজে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ। সেগুলি হল ঢাকুরিয়া ব্রিজ, জীবনানন্দ সেতু, দুর্গাপুর ব্রিজ, আম্বেদকর ব্রিজ এবং চিত্পুবর ব্রিজ।
কেএমডিএ পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ৫ ব্রিজে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গেলে ৩ দিন করে সেতু বন্ধ রাখতে হবে যান চলাচলের জন্যে।
তাই ট্রাফিক পুলিশের পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ এগোবে। তবে ত্রুটিপূর্ণ ব্রিজগুলির কাজ ফেলে রাখতে চাইছে না রাজ্য। তবে এবিষয়ে পুলিশের পরিকল্পনা মোতাবেকই এগোবে রাজ্য।