শতাধিক ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাবে রাজ্য, ট্যুইটে বার্তা মমতার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুরু থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সিরিয়াস বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি যখন ঠান্ডাঘরে বসে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য মায়া কান্না কাঁদছে, ঠিক তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লকডাউনের শুরুতেই ১৮টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছিলেন।

এমনকী বুধবারও করোনা প্যাকেজে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপেক্ষা করার জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।পরিয়ায়ী শ্রমিকদের নিয়ে তাঁর উদ্বেগ যে আদতে লোকদেখানো নয়, তা প্রমাণ হল বৃহস্পতিবার। লক ডাউনের মধ্যে আটকে অর্ধাহার, অনাহারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে রেল মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে ১০৫ টি ট্রনের ব্যবস্থা করলেন তিনি।এদিন ট্যুইটবার্তায় সে কথাই জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরেই ভিনরাজ্যে আটকে পড়া রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরাতে ট্রেন দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে চাপানউতোর চলছিল। এবার সেই সমস্যা মিটিয়ে বড় পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনের ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের দেওয়া কথা মতো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের ফেরাতে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরাতে আমরা মোট ১০৫ টি ট্রেন আয়োজন করতে পেরেছি। আগামী বেশ কয়েকদিন ধরে এই ট্রেনগুলি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আটকে পড়া রাজ্যের বাসিন্দাদের নিজের শহরে ফিরিয়ে আনবে।’

করোনায়া আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বামপন্থী মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের

শুধু মুখ্যমন্ত্রী একা নন, তাঁর হাতে থাকা স্বরাষ্ট্র দফতরের থেকেও ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে,রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে, গোটা দেশের আটকে থাকা বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের একশোর বেশি ট্রেনে করে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে।রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা এতদিনে সফল হয়েছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে একটি লিঙ্ক শেয়ার করেছেন। সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, এবং বলা হয়েছে, কোত্থেকে কোথায় ট্রেন আসবে, এবং কবে আসবে।

বিগত কয়েকদিন ভিনরাজ্যে আটকে পড়া রাজ্যের বাসিন্দাদের ফেরানোর বিষয়টি নিয়ে এক রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল।

পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে রাজ্যকে একযোগে কাঠগোড়ায় তুলতে শুরু করেছিল সিপিএম-কংগ্রেস- বিজেপি। সেসময়ই সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। সে কথা যে একশ শতাংশ সত্যি তাও প্রমাণ হল আরও একবার।

সম্পর্কিত পোস্ট