নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে কড়া হতে পারে সুপ্রিম কোর্ট
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা। খাতায় কলমে তাদের কাজকর্ম, সিদ্ধান্তে সরকারও নাক গলাতে পারে না। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন ধরেই কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। মোদি সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের একের পর এক সিদ্ধান্ত সেই প্রশ্নকে দাবানলের রূপ দিয়েছে।
এই সম্প্রতি, হিমাচল প্রদেশের ভোট ঘোষণার সময় একইসঙ্গে কেন গুজরাটের নির্বাচনের কথা ঘোষণা করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আবার ভোট হয়ে যাওয়ার এক মাস পর হিমাচলের ফল ঘোষণার বিষয়টিকেও অনেকে সরকারের প্রভাব খুঁজে পাচ্ছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হওয়ার গর্ব অক্ষুন্ন রাখতে হলে ভারতকে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতাকে নিশ্চিত করতে হবে। আর তা কমিশনের কমিশনারদের কাজের মাধ্যমেই হওয়া সম্ভব। কিন্তু দিনে দিনে সরকারের অনুগত আমলাদের যেভাবে কমিশনার পদে নিয়োগ করা হচ্ছে তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আমজনতার একাংশেরও নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা কমছে। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসল সর্বোচ্চ আদালত।
মাত্র একদিন আগে নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অরুণ গোয়েল। তিনি একসপ্তাহ আগেও কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। তাঁর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দায়ের হয়। তাতেই আদালত অরুণ গোয়েলের নিয়োগের ফাইল তলব করে বসে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। যা নজিরবিহীন। এমন ঘটনা অতীতে ঘটতে দেখা যায়নি।
‘বিরোধী জোট কী?’ কেজরিওয়ালের বক্তব্যের উদ্দেশ্য নিয়ে জল্পনা
বুধবার নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টই মন্তব্য করেছে, টি এন শেষনের মতো কাউকে নির্বাচন কমিশন করতে হবে। যার কাজের মেয়াদ অন্তত পাঁচ বছর হবে। আদালত পরিস্কার বুঝিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনও আপোস করা চলবে না।
এদিকে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বুধবার সুপ্রিম কোর্টে দাবি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হোক। তাঁর প্রস্তাব, বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যেমন কলেজিয়াম আছে, অনুরূপ ব্যবস্থা হোক নির্বাচন কমিশনের ক্ষেত্রেও। কমিশনই বেছে নিক কে হবেন পরবর্তী কমিশনার। প্রশান্ত ভূষণের মতে, একমাত্র তবেই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।