তিন কৃষি আইনের রুপায়নে স্থগিতাদেশ, কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত একমাসের ওপর ধরে দিল্লি সীমান্তে চলা আন্দোলন আট দফার বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান মেলেনি। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মামলা। মঙ্গলবার সেই মামলার রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। তিন কৃষি আইনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তী নির্দেশ না মেলা অবধি আইনের বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে কমিটি গঠন করে বিষয়ের মধ্যস্থতার কথা জানিয়েছে আদালত।

কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি জিতেন্দ্র সিং মান, আন্তর্জাতিক পলিসি হেড ডঃ প্রমোদ কুমার যোশী, কৃষি বিশেষজ্ঞ অশোক গুলাটি এবং মহারাষ্ট্রের শিবকেরি সংগঠনের অনীল ধানভাত।

তিনি বলেন, একমাত্র কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। একমাত্র কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। কমিটি গঠনের জন্য বেশ কিছু নাম চান তিনি।  প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, একমাত্র কেন্দ্রের ক্ষমতা রয়েছে আইন প্রত্যাহারের।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/ban-on-tractor-rallies-in-delhi-central-govrnment-on-supreme-court/

২৬ জানুয়ারি দিল্লির ভিতরে ট্রাক্টর র‍্যালি করার কথা ছিল কৃষকদের। কিন্তু সেই মিছিলের নিষেধাজ্ঞার দাবীতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দেয় দিল্লি পুলিশ। এবিষয়ে কৃষকদের নোটিশ পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট।

আন্দোলনরত কৃষকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী এম এল শর্মা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। তাই কমিটিতে কৃষকরা থাকবেন না বলেই স্থির করেছেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এবিষয়ে কিছু বলতে পারিনা।

আদালতের রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে আরও বলেন, এটা কৃষক মরন-বাঁচনের বিষয়। এমনকি নতুন আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধান বিচারপতি। আন্দোলনের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে সেবিষয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। আমরা কৃষি আইনের বৈধতা শুনেছি। আর আমরা আইন মেনেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আদালতের কাছে কমিটি গঠনের ক্ষমতা রয়েছে। যারা আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের মধ্যে যারা সমস্যার সমাধান চান তাঁরা সকলেই কমিটি গঠনের প্রস্তাবে সায় দেবেন। এই কমিটি কোনও পক্ষকেই শাস্তি দেবে না। নতুন তিন কৃষি আইনের প্রভাব সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে কেন্দ্রের শাসক দলের তরফে কৃষক আন্দোলনে খালিস্তানি যোগের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে ভেনুগোপালকে এবিষয়ে প্রশ্নও করেন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। আন্দোলনের মধ্যে খালিস্তানি সমর্থকদের প্রবেশের অভিযোগ তুলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। যদিও কোনও অনুপ্রবেশকারী এই আন্দোলনে অংশ্রগ্রহণ করে থাকে সেবিষয়ে নিশ্চিত হয়ে আদালতে এভিডেভিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে কেহন তাঁদের কাছে আদালতের নির্দেশ এসে পৌঁছায়নি। আদালতের নির্দেশ এলে বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবেন তাঁরা।

সম্পর্কিত পোস্ট