পাহাড়ের মেঘ ভাঙা লাগাতার বৃষ্টি, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পাহাড়ের মেঘ ভাঙা লাগাতার বৃষ্টি জেরে সমতলের সব নদীর জলস্তর বাড়ল। জলপাইগুড়ি তিস্তার নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। মঙ্গলবার মুহূর্তের মধ্যে জল বাড়তে থাকে। বুধবার সকাল পর্যন্ত নদী সংলগ্ন এলাকার একাংশ বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে এলেও এখন চরের কিছু বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা সম্ভব হয়নি।

পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে তিস্তায় জলস্ফীতি। তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হলো ৪২৩১ কিউসেক জল। আর এর জেরে তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় ( দোমহনী থেকে বাংলাদেশ) সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে জারি করা হলো হলুদ সংকেত। আজ সকাল থেকেই জলস্ফীতি শুরু হয়েছিল। মঙ্গলের সকালে তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছিল ২৯১৩ কিউমেক জল। দুপুরে ছাড়া হয় ৪২৩১ কিউমেক জল।

প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাতে রংধামালি তিস্তার চরে প্রায় দেড়শো বাসিন্দা আটকে যায়। অনেকের গরু ছাগল জলে ভেসে গিয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে ১৯৬৮ সালের লক্ষ্মী পুজোর রাতের কথা মনে পরতেই আতঙ্ক ছড়ায়। কারণ সেই সময় তিস্তা বাঁধ ভেঙে অনেক মানুষ, গরু,ছাগল বন্যায় ভেসে যায়। শহর জলের তলায় চলে গিয়েছিল।

বাংলা পুরোপুরি কালাজ্বর মুক্ত

মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত দফায় দফায় প্রায় ৬০ হাজার কিউমেক জল ছাড়া হয় গাজোলডোবা তিস্তা ব্যারাজ থেকে। এর জেরে তিস্তা সংলগ্ন অসংরক্ষিত এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত লাল সর্তকতা জারি হয়েছে। সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করে প্রশাসন। তিস্তা চর এলাকায় বাসিন্দাদের সর্তক করতে ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

অন্যদিকে শহরতলীর বিবেকানন্দ পল্লীর তিস্তার বাঁধে রেন কাট দেখা যায়। এর জেরে আতঙ্ক ছড়ায়। সেচ দফতর ও স্থানীয়রা বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ মেরামতিতে হাত লাগায়। জুবলি পার্ক এলাকায় জল বেড়েছে অনেকটা। জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা, পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত নদী সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন রাতে। পরিস্থিতি উপর নজরদারি চলছে জানায় পুলিশ।

সম্পর্কিত পোস্ট