কমিউনিস্ট পার্টি না হয়েও শহিদ দিবস পালনের ঐতিহ্য একমাত্র তৃণমূলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বেই কমিউনিস্ট দলগুলো ঘটা করে শহিদ দিবস পালন করে। ১ মে তো বটেই, এর বাইরে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কমিউনিস্ট পার্টি নিজেদের লড়াই আন্দোলনে কথা স্মরণ করে বিশেষ বিশেষ দিন পালন করে। যা কার্যত শহীদ দিবসের নামান্তর হয়ে থাকে।
এ দেশেও সিপিএম, সিপিআই-এর মত কমিউনিস্ট পার্টিগুলি কেউ তেভাগা আন্দোলন, কেউ খাদ্য আন্দোলন আবার কেউ তেলেঙ্গানার সশস্ত্র সংগ্রাম উপলক্ষে বছরের পর বছর শহিদ দিবস পালন করে আসছে। কিন্তু শত লড়াই আন্দোলনে অসংখ্য মানুষ মারা গেলেও বাকিরা দলীয় শীর্ষ নেতার মৃত্যু বা জন্মদিনের মধ্যে বাকিটা সীমাবদ্ধ রাখে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন। তৃণমূল কংগ্রেস সত্যিই ব্যতিক্রম।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা মহাকরণ অভিযান ঘিরে ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। পুলিশের ছোঁড়া গুলিতেই তাঁরা মারা গিয়েছিলেন বলে রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি স্বীকৃতি। এই নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানান মত আছে। কিন্তু আজ সেই কথা থাক।
সেই ঘটনার পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে ২১ জুলাই থেকে শহিদ দিবস পালন শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই হিসেবে ৯৩ সালের সেই মর্মান্তিক ঘটনার এবার তিন দশক পূর্ণ হতে চলেছে। মানে আজই!
তিন দশক আগে এই দিনে ঠিক কী হয়েছিল তা হয়ত আজকের নতুন প্রজন্মের তৃণমূল সমর্থকদের অনেকেই জানেন না। কিন্তু তাঁরা এটা জানেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের সাথী হতে গিয়ে সেদিন ১৩ টি তরতাজা প্রাণ আত্মবলিদান দিয়েছিল। ভয়ঙ্করভাবে আক্রান্ত হন স্বয়ং নেত্রী।
তৃণমূলের সমর্থন না পাওয়ায় দু’শোর আগেই থেমে যেতে পারে মার্গারেটের দৌড়
সঙ্গীদের সেই আত্মবলিদান আজ ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছেও ভুলে যাননি তৃণমূল নেত্রী। তাই প্রতিবছর যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালন করেন। কার্যত তৃণমূলের দলীয় ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২১ জুলাইয়ের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। তারপর আসে ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। এটাই বুঝিয়ে দেয় লড়াই, আন্দোলনকে কতটা গুরুতর দেয় এই দলটি।
কমিউনিস্ট পার্টি না হয়েও শহিদ স্মরণ তৃণমূলের ডিএনএ-তে মিশে গিয়েছে। যা আর কোনও ভারতীয় রাজনৈতিক দলে দেখতে পাওয়া যায় না। না বিজেপি, না কংগ্রেস, কেউ লড়াইয়ের সাথীদের এত গুরুত্ব দেয় না। এটাই রূঢ় বাস্তব। আর এখানেই বাকিদের থেকে আলাদা তৃণমূল কংগ্রেস।